বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটারদের সমর্থন ছাড়া জয় অসম্ভব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। রাজ্যটিতে মুসলিম ভোট ৩০ শতাংশের মতো (সরকারি হিসাবে ২৭ শতাংশ) হওয়ায় তা রাজনীতিকদের ঘুম হারাম করে তুলেছে। মুসলিম ভোটারদের সমর্থন ছাড়া জয় অসম্ভব।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ২৯৪ আসনের মধ্যে ১২৮টির জয়-পরাজয় নির্ভর করছে মুসলিম ভোটের ওপর। ফলে তৃণমূল থেকে বামফ্রন্ট, বিজেপি থেকে মুসলিম মোর্চা- সবার চোখ এখন মুসলিম ভোটের দিকে।

এমতাবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়ার মতো দলগুলো মুসলিমদের আস্থা অর্জনে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে, নানা ধরনের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হচ্ছে। তবে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুসলিম নেতারা।

সম্প্রতি ২০টি মসলিম সংগঠনের কনভেনশনে নেতৃত্ব দেন লাল সড়ক মসজিদের প্রখ্যাত ইমাম মাওলানা কারী ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, মুসলিম সমাজের ক্ষতি করবে, এমন শক্তিকে ভুলেও ভোট দেয়া যাবে না।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, মুসলিম ভোটের বড় একটি অংশ পেয়ে আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। এতে ভাগ বসাতে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির মিম দল এসেছে রাজ্যে, জোট গড়ছে ফুরফুরার পীরের সঙ্গে।

আগামী ২১ জানুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দিচ্ছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি বলেন, মুসলিম সমাজের ভালো কেউ করেনি। এ জন্যই সরকারে মুসলিম অংশীদারিত্ব বাড়াতে দল গঠন করা হচ্ছে।

তবে ভারতবর্ষে মুসলিমদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকা সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) পশ্চিমবঙ্গে আসার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বঙ্গীয় ইমাম সমাজের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। তিনি বলেন, বাংলার মুসলিমদের জন্য হায়দরাবাদের ওয়াইসির প্রয়োজন নেই।

সবমিলিয়ে পুরো রাজ্যজুড়ে মুসলিমদের টানতে দলগুলোর নানা কৌশলে নির্বাচন আমেজে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। অনেকেই বলছেন, মুসলিম ভোটাররা এখানকার বিধানসভায় ‘নির্ণায়ক শক্তি’তে পরিণত হচ্ছে, সেটা একেবারেই স্পষ্ট।

এদিকে, ডয়চে ভেলে জানায়, রাজ্যটি জয়ে মরিয়া ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি এখন প্রায়ই বাংলার মনীষীদের নাম নিচ্ছে। দল ভারী করতে অন্য দলের নেতাদের ভেড়ানোর চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে দলটি বাঙালি সংস্কৃতিতে ‘বহিরাগত’র তকমা মুছতে চাইছে।

সম্প্রতি বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহের হাত ধরে দলটিতে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন আরো ৪২ জন নেতা। তাদের মধ্যে ১ জন তৃণমূলের সংসদ সদস্য, ৯ জন বিধায়ক, ১ জন সাবেক সংসদ সদস্য, ১ জন সাবেক রাজ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের ১ জন বিধায়ক রয়েছেন।

তবে বিজেপি-বিরোধী প্রচারণা চালাতে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জোট নামে অভিনব একটি জোট গড়ে উঠেছে দেশটির পশ্চিমবঙ্গে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘বিজেপিকে একটিও ভোট নয়’ স্লোগান নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা।

এ জোটে রাজ্যের কিছু বামপন্থী, অতি বামপন্থী ও মানবাধিকার কর্মীদের একাংশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রচার কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ