শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


থার্টি ফার্স্ট নাইট: ঈমান বিধ্বংসী বিজাতীয় সংস্কৃত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তারেক সাঈদ।।

চন্দ্র-সূর্যের চক্রাকারে রাত দিনের আগমন ঘটছে। এভাবে সপ্তাহ, মাস, বছর যাচ্ছে তো পৃথিবীর বয়স বাড়ছে। আর চলছে আমাদের জীবন চাকা। কমছে আমাদের আয়ু। এসমস্ত কিছু কার ইশারায় হচ্ছে! নিশ্চয়ই তিনি আমাদের সৃষ্টিকারী, পালনকারী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। সূরা আল ইমরান (১৯)।

বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষের ধর্মই হচ্ছে ইসলাম। আমরা বুকে ইসলামকে ধারণ করে লালিত হয়েছি। আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সেটাও সংবিধানে উল্লেখ রায়েছে। সুতরাং ইসলামী মনোভাব নিয়ে যে রাষ্ট্রের জনগণ বেড়ে উঠছে সে রাষ্ট্রে বিজাতীয় সংস্কৃতি কিভাবে পালিত হতে পারে! এটা সত্যিই দুঃখ ও হতাশার বিষয়!

৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটকে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ নামে অভিহিত করা হয়। আমরা এটাকে ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে জানলেও মূলত তা ইংরেজি নববর্ষ নয়, বরং এটা খৃস্ট্রীয় বা গ্রেগরিয়ান নববর্ষ। যার সাথে মিশে আছে খ্রিস্টানদের ধর্ম ও সংস্কৃতি। এর নামকরণও করা হয়েছে খ্রিস্টানদের ধর্মযাজক পোপ গ্রেগরিয়ানের নামানুসারে।

ঐতিহাসিকরা বলেন, খৃষ্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ১ জানুয়ারিতে নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে। পরে তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ধর্মীয় ও দেশজ সংস্কৃতি নিজ নিজ ধর্ম ও দেশের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ও যৌক্তিক দাবি।

থার্টি ফার্স্ট নাইট খৃস্টানদের সংস্কৃতি হলেও প্রতি বছর অনেক মুসলিমও পালন করে থাকেন। কিন্তু এটা মুসলমানদের কোন সভ্যতা, সংস্কৃতি হতে পারে না। বরং এটা একটি অপসংস্কৃতি। থার্টি ফার্স্ট নাইট বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ এবং অশ্লীলতার মহাপ্লাবন। এটি সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতি। একজন ঈমানদার মুসলমান ও রুচিশীল-সচেতন মানুষ কিভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও বেহায়াপনাকে সমর্থন করে তা বোধগম্য নয়।

ইসলামি আইনবিদগণ একে হারাম বলে আখ্যায়িত করেন। অন্য ধর্মের সংস্কৃতি-উৎসব মুসলমানের জন্য উদযাপন করা জায়েয নেই। বিজাতীয় সংস্কৃতি উদযাপন থেকে বিরত থাকতে কোরআন ও হাদিসে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া (ইসলামি রীতিনীতি) অন্য কোনো ধর্মের অনুসরণ করবে কখনো তার সেই আমল গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। (সূরা আল ইমরান: ৮৫)।

হাদিসে নববীতে রাসূল সা. ইরশাদ করেন, ‘যে অন্য জাতির সঙ্গে আচার-আচরণে, কৃষ্টি-কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে। (সুনানে আবু দাউদ : ২৭৩২)।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক সু-স্পষ্ট এরশাদ করেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি একটি নির্দিষ্ট বিধান এবং সুস্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি’। (সুরা মায়িদাহ : ৪৮)।

রাসুল সা. আরো ইরশাদ করেন, ‘যদি তুমি খারাপ কাজ করো, আর তোমার খারাপ লাগে, ভালো কাজ করে ভালো লাগে তাহলে তুমি মুমিন। কিন্তু যদি খারাপ কাজ করে ভালো এবং ভালো কাজ করে খারাপ লাগে তাহলে তুমি মুমিন হতে পার না’। (মুসলিম : ১৯২৭)।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ