শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


কম খরচে পুষ্টিকর খাবার!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

খাদিজা ইসলাম 

যেসব জিনিসের কারণে মানুষ বেঁচে থাকে সেগুলোর একটি খাদ্য। কিছু খাবারে পুষ্টিকম, কিছু খাবারে বেশি। পুষ্টিকর খাবারের নাম শুনলেই মাথায় আসে প্রচুর টাকা লাগবে! আসলেই কি তাই? কখনোই না; বরং পুষ্টিকর খাবার খেতেই খরচ কম হয়।

খাদ্যের প্রধান উৎস শর্করা। শর্করার উৎস ভাত। প্রোটিন হিসেবে মাছ-মাংস প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে এ কেমন কথা! ডাল, ছোলা, বাদাম, শিমের বিচি, সয়াবিন ইত্যাদি থেকেও প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া যায় । শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব কয়টি অত্যাবশ্যকীয় হলো ডিম। কেননা ডিমে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখা উচিত।

চাল, রুটি, যব ইত্যাদি শস্যদানাতেও প্রোটিন রয়েছে। চালে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড সীমিত পরিমাণে থাকে, ডালে ও তা পাওয়া যায়। আবার ডালে যে অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ সীমিত। সুতরাং শস্যদানার সঙ্গে যদি ডাল বা ডালজাতীয় খাদ্য মিশিয়ে খাওয়া যায়, তবে প্রোটিনের চাহিদা অতিরিক্ত মাছ-মাংস ছাড়াও পূরণ করা সম্ভব।

রোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদের ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম খাওয়া উচিত। ডিমের কুসুম, মাশরুম থেকে ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। সূর্যের আলো থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ।

সবুজ শাকসবজি যেমন- সজিনা পাতা,সজিনা, মুলা, ধনেপাতা, পালংশাক, লাউশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, কলমিশাক, লালশাক ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম, আঁশ ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও মৌসুমি ফল যেমন- আমলকী, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, আমড়া, জাম, কামরাঙা, আনারস, লিচু, তরমুজ, পাকা কলা, কাঁঠাল, আম ইত্যাদি থেকেও ভিটামিন পাওয়া যায়। সবজি কাঁচা মরিচ, উচ্ছে, করলা, ফুলকপি, ওলকপি, সজিনা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মিষ্টিকুমড়া, পেঁয়াজকলি, কলার মোচা, শালগম, বীট, কাঁচা কাঁঠাল, ঢ্যাঁড়স, পটোল, আলু ইত্যাদি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনিক অন্তত দুই কাপ ফল এবং আড়াই কাপ সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে শাকসবজি ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে। আর কাঁচা খেতে চাইলে তা খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এমনটায় জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নুরুন নাহার দিলরুবা।

লেখক- শিক্ষার্থী, অনার্স ২য় বর্ষ, বাংলা, তিতুমীর কলেজ।

-এএ


সম্পর্কিত খবর