শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও লেখায় আলেমদের প্রতি কটাক্ষ ছিল না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট>

কাতারে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশটির রাজধানী দোহার ম্যাজিস্ট্রি হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করে কাতার আওয়ামী লীগের একাংশ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাতার আওয়ামী লীগের (একাংশ) সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রধান।

কাতার ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে নিযুক্ত একমাত্র বাংলাদেশী আরবী ভাষা প্রশিক্ষক হিসেবে মাওলানা ইউসুফ নূরকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। ক্বারী হাফেজ নূর মুহাম্মদসহ বেশ কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক উভয় ছিলেন আলেম। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ।গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী।

‘এমনকি মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী যে কোটটি শেখ সাহেবকে পড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেটাই আজকের সুপরিচিত মুজিবকোর্ট। বঙ্গবন্ধুর কোন ভাষন ও লেখায় আলেমদের প্রতি কোন ক্ষোভ ও কটাক্ষ আমরা পাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রদান করে উলামা মাশাইখদের কাছে টেনে নিয়েছেন। তাই আলেমদের ব্যাপারে আওয়ামী নেতাকর্মীদের কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য একটি আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া কিছু নয়।’

কওমি মাদ্রাসার অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, কাতারে হাজারের কাছাকাছি ইমাম ও কুরআন প্রশিক্ষক কওমি ছাত্র। আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী বিজয়ীরা অধিকাংশই কওমি পড়ুয়া। তাই কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বিষোদগার মানে জাতীয় গৌরবের অবমাননা। এতে সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, এসব বন্ধ করতে হবে।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী লীগের প্রকৃত ইতিহাস পড়ার ও তা জাতির সামনে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে আক্রোশমূলক বক্তব্য পরিহার করার অনুরোধ থাকলো আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ