শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বারিধারা মাদরাসায় আল্লামা মাহমুদুল হাসানের আবেগঘন বয়ান ও দোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মোস্তফা ওয়াদুদ : আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন। আজ (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এরপরই সারাদেশ শোকাহত হয়ে পড়ে। আল্লামা কাসেমী প্রতিষ্ঠিত বারিধারা মাদরাসা মাদরাসায় নামতে থাকে জনতার ঢল। দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম হাজির হোন বারিধারা প্রাঙ্গণে। যে প্রাঙ্গণে আগে এলে একটা উৎফুল্লতা ছেয়ে যেতো সবার মনে। সে বাগানে আজ সবার মনে বিষণ্নতার ছায়া।

বিষণ্ন হৃদয়ে শান্তনা প্রদানের জন্য বারিধারা মসজিদে বাদ মাগরিব এক আবেগঘন বয়ান করেন যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মহাপরিচালক, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান, শায়েখে যাত্রাবাড়ী আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, আল্লামা কাসেমী ছিলেন ইলমী কাননের নক্ষত্র। গভীর ইলমের ভাণ্ডার ছিলেন তিনি। তার সমুদ্র জ্ঞান সারাজীবন উম্মতকে বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার সারাজীবনের প্রধান পরিচয়ই ছিলো ইলমী পরিচয়। তার কাছে শেখা যেতো ইলমকে কিভাবে গভীরভাবে অনুধাবন করা যায়। কিভাবে ইলমের সাগরে ডুব দিয়ে থাকা যায়। আর ছিলো গভীর আমল। তার ইলম ও আমল এ দুটি বিষয়ের কারণে তার দ্বিতীয় আরেকটি দ্বিতীয় বৈশিষ্ট তৈরি হয়েছিলো। সেটি হলো, বাতিলের সাথে আপোষহীনতা। তিনি সব সময় সত্যের পথে মাথা উঁচু করে অবস্থান নিতেন। কখনো বাতিলের সাথে আপোষ করেননি তিনি।

তার এই দুটি সিফাত। একটি ইলমের আমানতদারীতা। অন্যটি বাতিলের সাথে আপোষহীনতা। এ দুটি বিষয় তোমরা যারা ছাত্র আছো-তারা ধরে রাখো। তাহলে প্রকৃতপক্ষে আল্লামা কাসেমীর আত্মা শান্তি পাবে। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন।

সংক্ষিপ্ত বয়ানের পর এক দরদভরা হৃদয়ে মুনাজাত করেন তিনি। মুনাজাতে মসজিদে উপস্থিত সবার কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। কোনো বড় শায়খ কোনো বড় কারো মৃত্যুতে এভাবে কখনো কাঁদতে দেখা যায়নি; যেভাবে তিনি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জন্য কেঁদেছেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ