বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


লিবিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত ২টি এয়ারলাইন্স

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভুয়া টিকেটে লিবিয়ায়, মানবপাচারের অভিযোগ দুই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে।

লিবিয়ায় মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে দুটি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে। কাজের নামে যাদের লিবিয়া পাঠানো হতো- তাদের ভুয়া টিকিটে পাঠাতো এই এয়ারলাইন্স দুটি। তবে এয়ারলাইন্স দুটির নাম জানায়নি পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

চলতি বছরের ২৬ মে ২৬ বাংলাদেশিকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত লিবিয়ার মানবপাচারকারীরা। সেদেশটির মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি কয়েকটি চক্র।

এ ঘটনায় সারাদেশে মানবপাচারকারী ২৬ টি মামলা হয়। আসামি করা হয় ২৯৯জনকে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার ১৭১ জন। ২৫ টি মামলায় তদন্ত করছে সিআইডি।
সিআইডি জানায়, ২০১৯ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৮ জনকে ইউরোপের দেশেগুলোতে পাঠানোর কথা বলে বাংলাদেশ থেকে নেয়া হয়। লিবিয়া থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগে লিবিয়ায় মিলিশিয়ার হাতে গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশিরা।

সিআইডি প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারে জড়িত পলাতক কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে ইন্টাপোলে আবেদন জানানো হবে। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ৬ জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়। গত ২৭ নভেম্বর ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। এরা হলেন- মিন্টু মিয়া (কিশোরগঞ্জ), তানজিমুল ওরফে তানজিদ (কিশোরগঞ্জ), জাফর ইকবাল (কিশোরগঞ্জ), নজরুল ইসলাম মোল্লা (মাদারীপুর), শাহাদাত হোসেন (কিশোরগঞ্জ) ও স্বপন (কিশোরগঞ্জ)। গত ২ জুন তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে তানজিমুল ইতালিতে পালিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।

ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৬ মে লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারের ২৬ মামলার মধ্যে ২৫টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এসব মামলায় আসামি ২৯৯ জন। এখন পর্যন্ত ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হবিগঞ্জে করা একটি মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ৪২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

লিবিয়ায় কর্মী পাঠানো নিষিদ্ধ হলেও প্রায় ২০-২২ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছে দেশটিতে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে মানবপাচার কারীরা বাংলাদেশ থেকেই কর্মীদের সংগ্রহ করে সেদেশে পাঠায়। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধান মানবপাচারকারীরা বাংলাদেশে বসেই কাজ করছে। এখানে যারা আছে তাদের কাজ হচ্ছে এসব শ্রমিকরা কোথায় থাকবে, কীভাবে তাদের ঘাট পর্যন্ত নেয়া হবে। এখান থেকেও বেশি বিপদজনক হচ্ছে যারা বাংলাদেশে বসে এই কাজ করছে।

লিবিয়ায় পাচারকারী চক্রের ৬ বাংলাদেশীকে ধরতে ইন্টার পোলের সহায়তা চেয়েছে সিআইডি। তাদের দের মধ্যে তানজিমুল ইতালীতে পালিয়ে আছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। অন্যদের কোন অবস্থান জানায়নি সিআইডি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ