শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


রাসূলের ভূমিতে নেতানিয়াহু, মুসলমানদের জন্য অপমানজনক: সামি আবু যুহরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাসূলের জন্মভূমিতে নেতানিয়াহুর প্রবেশ মুসলমানদের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রভাবশালী নেতা সামি আবু যুহরি।

গতকাল শনিবার (২৮ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠক করার এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে তাদের বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সৌদি আরব বৈঠকের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে, অন্যদিকে নেতানিয়াহুর অফিসও এ বিষয়ে মুখ খুলছে না। বৈঠক নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও নেতানিয়াহুর সৌদি সফর নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

হামাসের প্রভাবশালী নেতা সামি আবু যুহরি বলেছেন, ‘সৌদি আরবে দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গোপন সফর গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি অবমাননা। এর মাধ্যমে গোটা মুসলিম বিশ্বকে অপমান করা হয়েছে। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জাতির সব অধিকারকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সৌদি আরবকে অবশ্যই ব্যাখ্যা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর এই সফরের ঘটনা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’ তার মতে, ‘সৌদি আরবে মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মক্কা ও মদিনা অবস্থিত। মক্কায় রয়েছে কাবা শরিফ। সৌদি ভূখণ্ডে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম। এ কারণে মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু ও তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে আকসার দখলকারী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রাসূলে খোদা (সা.)-এর জন্মভূমিতে প্রবেশ করতে দেওয়া সব মুসলমানের জন্য অপমানজনক।’

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের। যা নিয়ে মুসলিম বিশ্বে আলোড়ন চলছে। ফিলিস্তিন এর কড়া সমালোচনা করেছে। এরই মধ্যে সৌদি আরবে নেতানিয়াহুর সফরের খবর বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের সম্পর্ক নিয়ে সৌদি আরব সোচ্চার এবং সে কারণেই ইসরাইলের সঙ্গে কোনো রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না। তা হলে আচমকা কেন নেতানিয়াহু সৌদি গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

তবে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বিমান প্রায় দুই ঘণ্টা সৌদি আরবের মাটিতে ছিল এবং রাত ১২টার দিকে সৌদি আরব থেকে ইসরায়েলে ফিরে এসেছে। সৌদির যে শহরে ফ্লাইটটি পৌঁছেছিল, সেখানেই ছিলেন যুবরাজ সালমান। এই বিমান ব্যবহার করে এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

গণমাধ্যমগুলো বলেছে, যুবরাজ আর নেতানিয়াহুর মাঝে যদি বৈঠক হয়ে থাকে; তাহলে এটিই হবে সৌদি আরবে কোনো দখলদার প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ