বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি, অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা ফের ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, হতে পারে বৃষ্টি যুদ্ধ কখনোই কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার ‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক

আজকের এইদিনে জন্ম-মৃত্যু যেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বদের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: আজ ১১ নভেম্বর। আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এভাবেই চলে আসছে কাল মহাকাল। সময়ের এই ঘূর্ণয়নে পৃথিবী দেখা পায় কিছু নতুন মুখের। আবার হারায় অনন্যকিছু। স্মৃতির অ্যালবামে যুক্ত হয় ভালবাসার আবির। তাই বলা যায়, প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। আর সে ইতিহাসের পাতায় ভর করে আজ আমরা জানবো আজকের এইদিনে আগমন ও পরলোকগমন করেন কোন কোন মুসলিম ব্যক্তিত্ব।

শুরুটা আগমন বা জন্ম দিয়েই করা যাক। ১৮৮৮ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্গত সৌদি আরবের মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তার আসল নাম ছিল সৈয়দ গোলাম মুহিউদ্দিন আহমেদ বিন খায়েরুদ্দিন আল হুসায়নি। তবে তিনি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নামেই সর্ব মহলে পরিচিত।

দারিদ্র ঘরের সন্তান  মাওলানা আজাদ অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিজেকে আলোকিত করেন শিক্ষার আলোয়ে।মহান এ শিক্ষাবীদ ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে তার উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণে রেখে তার জন্মদিনটি সারা দেশে "জাতীয় শিক্ষা দিবস" হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্নে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়।

মানবতাবাদী কবি ও সনেট সম্রাটখ্যাত কবি মোতাহার হোসেন ও মায়ের কোল উজ্জ্বল করেছিলেন আজকের এই দিনে।১৯০৭ সালের ১১ নভেম্বর তিনি ফরিদপুর জেলায় নিজ দাদার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি পড়াশোনা করেছেন ফরিদপুর জেলা স্কুল , জগন্নাথ কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৩১ সালে অর্জন করেন স্নাতক ডিগ্রি। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি সুফিবাদের দীক্ষা নেয়ার জন্য তিনি প্রায় ১২ বছর বিভিন্ন পীর আউলিয়ার দরবারে ঘুরে বেড়ান। যার জন্য তার নামের শুরুতে অনেকে সুফি লিখে থাকেন।

দীর্ঘ ১২ বছর পর তিনি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে মনোনিবেশ করেন।চাকরি নেন ফরিদপুর জেলা জজ আদালতে। বেঁছে নেন কবিতার স্বর্গ। সনেটে তার জুড়ি মেলা ভার। তাই তাকে বলা হয় সনেট সম্রাট।অমরাবতী,কথা,সংহতি,মানুষ ও ঝড় তার সনেটের মধ্যে অন্যতম।কবিতার ছোঁয়ায় তিনি ১৯৭৪ সালে কবিতা বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ। স্বাধীন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা। আজকের এই দিনে পাকিস্তান হারিয়েছিল তার এ মহান নেতাকে।করাচিতে জন্ম নেয়া গুজরাটি বংদ্ভুত জিন্নাহ ছিলেন একাধারে আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন এবং আমৃত্যু এই পদে বহাল থাকেন। পাকিস্তানে তাকে কায়েদে আজম (মহান নেতা) ও বাবায়ে কওম (জাতির পিতা) হিসেবে সম্মান করা হয়।

যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪৮ করাচিতে নিজ বাসভবনে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর মৃত্যু হয়।

ইয়াসির আরাফাত। তার পুরোনাম মুহাম্মদ আবদুর রহমান আবদুর রউফ আরাফাত আল-কুদওয়া আল-হুসেইনী। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের নোবেল জয়ী নেতা এবং ফিলিস্তিন জাতীয় কর্তৃপক্ষের ১ম প্রেসিডেন্ট। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর চেয়ারম্যান হিসাবে আরাফাত ইসরায়েলী দখলদারির বিরুদ্ধে সারাজীবন সংগ্রাম করেন।

২০০২ থেকে ২০০৪ সালের শেষভাগ পর্যন্ত আরাফাত ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হাতে তার রামাল্লার দপ্তরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকেন। ২০০৪ এর শেষদিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং কোমায় চলে যান। তার অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে , তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা এবং সিরোসিসে ভুগছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে প্যারিসে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ