বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


যে সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শায়েখ সাখাওয়াত রাহাত হাফি.।।

দোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ বলা হয়েছে। যে আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন। হাদিস শরিফে এসেছে, কেবল দোয়ার মাধ্যমেই ভাগ্য পরিবর্তন হয়। এ জন্য সারা বছরই দোয়ার এহতেমাম করা চাই। তবে বিভিন্ন হাদিসের আলোকে জানা যায়- বিশেষ কিছু সময় ও অবস্থা এমনও রয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই বান্দার দোয়া কবুল করেন। নিম্নে সেগুলোর মধ্য থেকে ৭টি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

১. যখন বৃষ্টি হয়: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: দু’টি বিষয় আছে এমন যেগুলো ফিরিয়ে দেয়া হয় না, আজানের সময় দোয়া ও বৃষ্টির সময়ে দোয়া। (আবু দাউদ শরিফ, সহীহুল জামি; হাদিস নং ৩০৭৮)

২. রাতের শেষাংশে : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন দোয়া সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’ তিনি বললেন, ‘রাত্রির শেষভাগে এবং ফরজ নামাজসমূহের শেষাংশে।’(তিরমিজি শরিফ; হাদিস নং ৩৪৯৯)

৩. সফরে: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। সন্তানের জন্য পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া।’(বায়হাকি ৩/৩৪৫)

৪. সিজদায়: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বান্দা সিজদা অবস্থায় স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। অতএব, তোমরা অধিক মাত্রায় (ঐ অবস্থায়) দোয়া করো। (মুসলিম শরিফ; হাদিস নং ৪৮২, নাসাঈ শরিফ; হাদিস নং ১১৩৭, আবু দাউদ শরিফ; হাদিস নং ৮৭৫, মুসনাদু আহমাদ; হাদিস নং ৯১৬৫)

৫. শুক্রবার বাদ আসর: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে। তাতে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাশ করো। (আবু দাউদ শরিফ; হাদিস নং ১০৪৮, নাসাঈ শরিফ; হাদিস নং ১৩৮৯)

৬. রোজা অবস্থায়: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না; ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া। (ইবনে মাজাহ শরিফ; হাদিস নং ১৭৫২)

৭. আজান ও ইকামতের মাঝখানে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত দোয়া কখনই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’ (তিরমিজি শরিফ; হাদিস নং৩৫৯৪, আবু দাউদ শরিফ; হাদিস নং ৫২৫)

এ ছাড়াও লাইলাতুল কদরের সময় দোয়া, জমজমের পানি পান করার আগে দোয়া, মজলুমের দোয়া, সন্তানের জন্য পিতার দোয়া, আরাফার দোয়া, অসহায় বিপদগ্রস্তের দোয়া, অনুপস্থিত মুসলিমের জন্য যে দোয়া করা হয়; সেটাও তার জন্য কবুল করা হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ