শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আতঙ্কিত হয়ে পেঁয়াজ না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে যা দিয়ে আরও কয়েক মাস চলা যাবে। তাই আতঙ্কিত হয়ে পেঁয়াজ না কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে দু’টি কারণ রয়েছে। একটি হলো- হঠাৎ করে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া। যার কারণে দেশের বাজারে এ পণ্যটির ওপর চাপ বেড়েছে। অপরটি হলো- আতঙ্ক ছড়ানো। পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে আতঙ্কিত হয়ে মানুষ প্রয়োজনের বেশি পেঁয়াজ কিনছে। ফলে সংকট তৈরি হওয়ায় এর দাম বাড়ছে। এ ছাড়া এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পণ্যটির দাম বাড়াচ্ছে।

তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনবেন না। দেশে দুই-তিন মাস চলার মতো যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দাম বাড়ার যে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটি এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক করা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় মিশর, চীন, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পণ্যটি আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে এলসি খোলা হয়েছে। এ ছাড়া যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে টিসিবির মাধ্যমে বিদেশ থেকে ১ লাখ টন পেঁযাজ আমদানি করা হবে।

গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত সরকার তার দেশের চাহিদা-যোগানের ভারসাম্য রক্ষা করতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠতে শুরু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পেঁয়াজ বাজার। এক রাতের ব্যবধানে ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আবার অনেক আড়ৎ মালিক অধিক মুনাফার আশায় পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধও করে দেয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ