বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


শরীরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রতি বছরই বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকাণ্ডে শত শত মানুষ হতাহত হয়। শরীরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সেসব বিষয়ে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আসুন জেনে নেই আমাদের করণীয় বিষয়গুলো।

শরীরে প্রচুর পানি ঢালুন: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, আগুনে পোড়ার প্রথম আধাঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসময় রোগীর শরীরে যত বেশি সম্ভব পানি ঢালুন। পানি ঢেলেই পোড়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলছে, ঠান্ডা পানি দিয়ে দগ্ধস্থান অন্তত ২০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। তবে বরফ, বরফ শীতল পানি, কোনো ধরনের ক্রিম, তৈলাক্ত পদার্থ ও মাখন দগ্ধস্থানে দেওয়া যাবে না।

পানি ঢালার পর: শরীরে আগুন লাগলে পানি ঢালার পর রোগীর শরীর গরম রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ পানি ঢালার ফলে হাইপোথারমিয়া হতে পারে। তাই কম্বল দিয়ে জড়িয়ে নিতে পারেন। তবে দগ্ধস্থানে যাতে কোনো ধরনের কাপড় লেগে না থাকে। সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

পোশাক ও গহনা খুলুন: কারো শরীরে আগুন লাগলে পরনের পোশাক ও গহনা যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলুন। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপি বা ডায়াপার থাকলেও খুলে ফেলুন। তবে পোড়া চামড়া বা পেশীর সাথে কোনো ধাতব পদার্থ বা কাপড়ের অংশ আটকে গেলে সরানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ক্ষত বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিন: আগুনে পোড়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টা খুবই জরুরি। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে দগ্ধের মৃত্যুঝুঁকি থাকলে অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যালাইন দেয়ার কারণে যে উপকার হয়, পরে সেটি হয় না। কারণ সময় চলে গেলে ৩-৪ লিটারের বেশি স্যালাইন দেয়া যায় না। ফলে এ ২৪ ঘণ্টাকে পোড়া রোগীর জন্য ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়।

যেসব জিনিস দেবেন না: দগ্ধস্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেবেন না। এতে পরবর্তীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর এগুলো পরিষ্কার করতে হয়। তখন এগুলো জমাট বেঁধে থাকায় চামড়া ওঠার আশঙ্কা থাকে। ক্ষত আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি মুখ বা চোখ পুড়ে যায়, তাহলে যতক্ষণ সম্ভব সোজা করে বসিয়ে রাখতে হবে। এতে ফোস্কা পড়া বা ফুলে যাওয়া কমে।

বেশি করে তরল খাওয়ান: আগুনে পোড়া রোগীকে স্যালাইন দেয়া সম্ভব না হলে মুখে অন্তত স্যালাইন, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ান। এছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন- ডিম বা মুরগি খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ