শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


খাশোগি হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা কমাল সৌদি আদালত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন সৌদি আদালত। এ হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৫ জনের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের জেল দিয়েছেন আদালত।

খাসোগির এক ছেলের ক্ষমার ফলে গত সোমবার মৃত্যুদণ্ড থেকে পাঁচজনের রক্ষা পাওয়ার পর আদালতের এ চূড়ান্ত রায় আসে। এই রায়ের মাধ্যমে সৌদি আরবে মামলাটির ইতি ঘটল।

সোমবার রিয়াদ অপরাধ আদালতের চূড়ান্ত রায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়। তবে এতে দণ্ডপ্রাপ্ত আট সৌদি নাগরিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সর্বোচ্চ ২০ বছর, একজনকে ১০ বছর এবং বাকি দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

জাহান নামে খাসোগির পরিবারের এক বন্ধু জানান, সবচেয়ে বড় কথা, জামাল খাশোগির দেহ কোথায়? আমি ধরে নিয়েছি, তার দেহের কী ঘটেছে তা তারা খুঁজে পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পুরো রায়টি আমার কাছে হেরফের হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পরিবারকে জানিয়ে রায়টি অবাধে সম্পন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি না। তবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সহযোগীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। তবে তার মরদেহ বা দেহাবশেষের চিহ্ণ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি সরকার। খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। পরে তিনি নিখোঁজ হন।

তুর্কি দাবি করেছিল, খাশোগিকে হত্যা করে তার লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। তবে খাশোগি নিখোঁজের পর সৌদি কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছিল, কনস্যুলেটে প্রবেশের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বের হয়ে গেছেন। পরে তারা দাবি করে, এজেন্টদের সঙ্গে ‘হাতাহাতিতে’ খাশোগির মৃত্যু হয়েছে।

সৌদি রাজপরিবারের, বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রত্যক্ষ মদদে খাশোগিকে ইস্তাম্বুলে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। সৌদি এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদির এ দাবিতে সন্তুষ্ট ছিল না।

পরে সৌদি আরব জানায়, সরকারি একটি বাহিনীকে ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছিল খাশোগিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু সেই ‘অভিযানটি বিশৃঙ্খল’ হয়ে পড়ায় খাশোগি খুন হয়ে যান।

এরপর সৌদি ১১ জনকে খাশোগি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করে। রিয়াদে একটি গোপন বিচারালয়ে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড, তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। খাশোগির ছেলেরা তাদের বাবার হত্যাকারীদের ‘ক্ষমা’ করে দিয়েছেন বলে পরে এক বিবৃতিতে জানান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ