শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


২১ নয় ২০২২ সালে শেষ হবে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ: অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ২০২২ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

করোনাভাইরাসে কারণে সৃষ্ট মহামারির প্রকোপ এবং অতিরিক্ত বন্যায় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সময়ে সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান।

২০২১ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মহামারি এবং বন্যায় কাজে বাধা সৃষ্টি করায় তা আর হচ্ছে না। নির্মাণকাজে সময় বেশি লাগায় প্রকল্পের মূল সেতু এবং নদী শাসনের কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক সংস্থার মেয়ার আরো ৩৪ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এজন্য সরকারের ৩৪৮ কোটি এক লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

ইতিমধ্যে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্প্যান বসানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ৩১ নম্বর স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। তবে, বন্যা এবং প্রবল স্রোতের কারণে ৩২ নম্বর স্প্যানটি সময়মতো বসানো যায়নি। বাকি থাকা ১০টি স্প্যানের মধ্যে ৩টি স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে মাওয়ার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে।

পদ্মা সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব এবং ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। বর্তমানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসেছে ১১০৫ টি ও রোডওয়ে স্ল্যাব ৬৩০টি বসানো হয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে, যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটির দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। একেকটি খুঁটি ৫০ হাজার টন ওজন নিতে সক্ষম।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূলসেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ