শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


লেবাননে ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: লেবাননে গত সপ্তাহে ভয়ানক বিস্ফোরণের পর আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এরপরও আন্দোলন অব্যাহত থাকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদত্যাগের জন্য।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দেশটির সংসদ জরুরি অবস্থা অনুমোদন করে। ফলে কার্যত ক্ষমতা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে।

ঠিক ১০ মাস আগেও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে। এতো অল্প সময়ের মধ্যে দুটি সরকারের পতনের ফলে এখন প্রশ্ন ওঠেছে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন কোন পথে?

নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সরকারই তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় থাকছে। অনেকের আশঙ্কা, নতুন সরকার গঠন দীর্ঘায়িত হবে এবং সেই সময়টিতে দেশ অচল হয়ে থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে অভিজাতদের দুর্নীতি ও ঋণের বোঝার চাপে লেবাননের অর্থনীতি আগে থেকেই ভঙ্গুর। দেশটিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রার মান তলানিতে ঠেকেছে, নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাও প্রায় অচল।

অন্যদিকে বিস্ফোরণে আর্থিক অংকে বৈরুতের ক্ষয়ক্ষতি এক হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার। নগরীর পুনর্গঠনেও কয়েক বছর লেগে যাবে। এসবের জন্য দেশটির এখন প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক সহায়তা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। বিস্ফোরণের একদিন পর গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৈরুত সফর করেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বুধবার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বৈরুতে গেছেন।

অনেকেই মনে করেন সরকারের পদত্যাগ দেশকে আবার সেই সাদ হারিরির পদত্যাগের সময়কার অচলাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। অক্টোবরে হারিরর পতনের পর ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে গিয়েছিল নতুন প্রধানমন্ত্রী দিয়াব আসতে।

লেবাননে অনেকেই এখন ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর সরকারের আশায় থাকলেও এ মুহূর্তে সাহায্যটাই তাদের জরুরি প্রয়োজন।

কিন্তু বিপর্যয়ে দ্রুত মানুষের সহায়তায় সাড়া দেওয়াটাই কেবল নয় বরং লেবাননে দীর্ঘমেয়াদে শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যতই এখন ঝুঁকিতে। ফলে সহসাই দেশটির রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসছে না বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ