শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


১৫ আগস্ট ‘প্লাজমা সেন্টার’ উদ্বোধন করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনামুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রয়োগের জন্য ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টার’ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আগামী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির স্মরণে এটি উদ্বোধন করা হবে।

বুধবার গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকার ভুল পথে হাঁটছে। হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়েই তাদের সব মাথাব্যথা। কিন্তু চিকিৎসার সহজলভ্যতা ও সুলভমূল্যে বা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সেবা প্রদানের বিষয়টি তাদের চিন্তার মধ্যেও নেই।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলে মানুষ অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হলে তারা নতুন জীবনীশক্তি ফিরে পান। কিন্তু দেশে প্লাজমা গ্রহণ ও প্রদানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। এই সুযোগে অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে ২০০ মিলিলিটার প্লাজমার জন্য রোগীদের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

তাই দেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্লাজমা সেন্টার চালু করতে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির স্মরণে আগামী ১৫ আগস্ট ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এই সেন্টার উদ্বোধন করা হবে। প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে প্রতিদিন ২৫ জন রোগীকে প্লাজমা দেয়া হবে। প্লাজমা সংগ্রহ ও প্রদানের জন্য বিদেশ থেকে আরো মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ জন রোগীকে প্লাজমা দেয়ার টার্গেট রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। কিন্তু সেটি আমজনতার সবাই পাচ্ছেন না। ঘুষ দেয়া ও একে অপরকে তদবির করো, এভাবেই চলছে। আর সে জন্যই সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে প্লাজমা সেন্টারটি চালু করতে যাচ্ছি, যোগ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালেই প্লাজমা সেন্টার স্থাপন করা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য আগে প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে। সরকারের মেশিন কেনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও সেগুলো দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে উদাসীন। শুধু ব্যয়বহুল ও অত্যাধুনিক মেশিন থাকলেই হবে না। সেগুলোর সাহায্যে সুলভমূল্যের চিকিৎসা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর