শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


‘কোরবানি নিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেছেন, কোরবানি নিয়ে একটি মহল জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। কুরবানী যার ওপর ওয়াজিব তাকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে।

‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটবাজার, ব্যবসা, বাণিজ্য অফিস, যাতায়াত ইত্যাদি করা গেলে শরীয়তের এই বিধানও পালন করা যাবে। এ নিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই। কোরবানির বিধান বছরে একবারই করা হয়। এই বিধানের বিকল্প বিধান কিংবা এটি বিলম্বিত করার কোন সুযোগ শরীয়তে নেই। কোরবানির মতো হজের টাকাও অন্য ভালো কাজে দান করার সুযোগ নেই। গত কয়েকদিনে বিখ্যাত আলেমরা এই মত দিয়েছেন। এটাই শরীয়তের বিধান।’

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এব বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, যারা আগ বাড়িয়ে কোরবানি নিয়ে মনগড়া মত দিচ্ছেন, কথা বলছেন এমনকি কোথাও কোথাও কোরবানি করা যাবে না নোটিশ দেয়ার মতো কাজ করছেন-এগুলো থেকে বিরত থাকা উচিত। শরীয়তের বিধান নিয়ে এমন মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই।

‘যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব তিনি উট গরু মহিষ এগুলোর যে কোন একটিকে ৭ জনে মিলে কুরবানী করতে পারেন। ছাগল দুম্বা হলে একটি করতে পারেন। একেবারে কম টাকা খরচ করে কোরবানি দেয়ার ইচ্ছা করলে তাতে ৮-১২ হাজার টাকার মধ্যেও কোরবানির ওয়াজিব আদায় করা সম্ভব। যারা আগে লাখ লাখ টাকার পশু কিনে কোরবানি দিতেন, তা না করে শুধু ওয়াজিব আদায় মতো কোরবানি দিয়ে বাকী টাকা বিলিয়ে দিতে পারেন। তাতে কোন সমস্যা নেই।’

তারা আরও বলেন, এটাও মনে রাখতে হবে, গরীব অসহায় মানুষ সারাবছর গোস্ত খেতে পারে না। কোরবানির গোস্ত তিনভাগ করে এক ভাগ নিজে খাওয়া, এক ভাগ আত্বীয়দের দেয়া এবং বাকী একভাগ গরীবদের মধ্যে বিতরণ করার নিয়ম। কোরবানির চামড়ার হকদারও গরীবরা। ফলে কোরবানির বিধানে গরীবদের কল্যাণের বিষয় জড়িত রয়েছে। কোরবানির পশু যারা পালন করেন তাদের স্বার্থের বিষয়ও রয়েছে। পশুর দাম না পেলে তারা অসহায় অবস্থায় পড়বেন। তারা কোরবানিতে পশু বিক্রির অপেক্ষায় লালন পালন করেন।

কোরবানির উদ্দেশ্য আল্লাহর সুন্তুষ্টি। আর সেই কোরবানিটা হযরত ইব্রাহীম আ. এর সুন্নাত হিসেবে মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব বিধান হয়ে এসেছে। কুরআনেই সরাসরি কোরবানি করার জন্য বলা হয়েছে। রাসুল স. বলেছেন, আল্লাহ যাকে সামর্থ্য দান করলেন এবং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যিনি কুরবানি করলেন না, তিনি যেন ঈদগাহে না আসেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর