বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

মালয়েশিয়ার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভাসমান মসজিদ ‘সুলতানা জাহরা’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন: রুচি ও সৌন্দর্যবোধে মালয় মুসলিমদের সুনাম আছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষত মসজিদ নির্মাণে তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি। মালয়েশিয়ায় পর্যটকপ্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে ‘সুলতানা জাহরা’ মসজিদ অন্যতম।

খোলামেলা পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ মুসলিম ও অমুসলিম সব দর্শককেই সমানভাবে আকর্ষণ করে। সুলতানা জাহরা মসজিদ মালয়েশিয়ার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভাসমান মসজিদ। অনিন্দ্য ও আধুনিক নির্মাণশৈলী সমৃদ্ধ স্থাপনাটি কুয়ালা তেরেঙ্গানা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কুয়াল ইবে নদীর তীরবর্তী অবস্থিত।

মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৩ সালে এবং তা সমাপ্ত হয় ১৯৯৫ সালে। একই বছরের জুলাইয়ে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ‘সুলতানা জাহরা’ মসজিদ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রয়াত সুলতান মাহমুদ আল-মুকতাফি বিল্লাহ শাহ।

আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেলে নির্মিত মসজিদটিকে শৈল্পিক কারুকাজ দ্বারা শোভিত করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে মেঝে ও দেয়ালে মার্বেল, চীনামাটির ফলক এবং মোজাইকের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সুলতানা জাহরা মসজিদে একসঙ্গে অন্তত দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। দূর থেকে দেখলে ‘সুলতানা জাহরা’ মসজিদটিকে মনে হয় যেন সমুদ্রকোলে জ্বলজ্বল করছে একটি পূর্ণচাঁদ—যার আলো প্রতিফলিত হচ্ছে পানির গভীর পর্যন্ত। সূত্র: আল জাজিরা ও উইকিপিডিয়া।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ