শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে কুপিয়ে ও গলাকেটে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলাপ হোসেন (৫৫) কে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত আলাপ হোসেন ওই গ্রামের ভোলায শেখের ছেলে। এ ঘটনায় নুর ইসলাম ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি নুর ইসলাম আহত হয়েছেন।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলাপ হোসেন সন্ধায় কয়েকজন একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে নিকটস্থ বাদামতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। তারা হরিশংকরপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মোড়ে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গলাকেটে আলাপ হোসেন ও নুর ইসলামকে গুরুতর জখম করে। তাদেরকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাপ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিয়ের দাওয়াত ও দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করে তারা।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, নিহত আলাপ হোসেনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। এরই জের ধরে হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পর জড়-বৃষ্টি শুরু হলে কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ সাথে সাথেই সেটি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সাবেক চেয়ারমান ও হরিশংকরপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফরিদ জানান, নিহত আলাপ হোসেন হরিশংকর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন ও আহত নুর ইসলাম একই ওয়ার্ডের সভাপতি। বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুমের সমর্থক চিহ্নিত খুনি বল্টু ও তুফানের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, নিহত আলাপ হোসেন এক সময় চরমপন্থী দল বিপ্লবি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও ক্রসফায়ারে নিহত চরপন্থী দলের আঞ্চলিক নেতা সামছুল ওরফে সামছেল এর ডান হাত ছিলেন। এছাড়া নিহত ও আহতরা সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং সামাজিকভাবে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমর্থক ছিলেন। পরে সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদের সমর্থক হিসেবে আ. লীগের নেতা হয়ে গেছে।

এদিকে ঘটনার পর পরই টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময লুটপাট ও ভযাবহ সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস জানান, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া খুনিদের আটক ও সংঘর্ষ এড়াতে শুক্রবার ভোরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ