বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


করোনা ভাইরাসে মদিনায় চিকিৎসকসহ ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবের মদিনায় একজন চিকিৎসকসহ তিন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে সাফা আল মদিনা বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার আফাক হোসেন (৫৮)। আল সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানির কর্মকর্তা কোরবান আলী (৫৪) এবং মোহাম্মদ হাসান (৩৮) আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আইন সহকারী মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা এই পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জানতে পেরেছি। অপর আর একজন মারা গেছেন শুনেছি কিন্তু আমাদের কাছে এখনও সৌদি হাসপাতাল থেকে কোনো কাগজপত্র আসেনি। যার কারণে বাকি একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না। আর যে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি তাদের মধ্যে একজন ডাক্তার ও অপর একজন মদিনা আল সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

জানা যায়, ডাক্তার আফাক হোসেন সৌদি আরবে মদিনায় সাফা আল মদিনা বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের মদিনা শরীফের আওয়ালির সাথে আল যুযান নামক স্থানে থাকতেন। ডা. আফাক এক আফগানিস্তানের লোক করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসলে উনি তার চিকিৎসা করেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই লোকের মাধ্যমে তার শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে।

ডাক্তার আফাক হোসেন ৩১ মার্চ সকালে মদিনায় একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ডাক্তার আফাকের বাড়ি নড়াইল জেলার সদর থানার আমজাদ হোসেনের ছেলে।

দ্বিতীয় জন হলেন, কোরবান আলী মদিনার সোলায়মান ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নিয়ে হাসপাতালে যান পরে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। গত ২৪ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মদিনার আল জাহরা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত কোরাবান আলীর বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার সাদাপুর পূরান গ্রামের রেজাউল করিম এর ছেলে।

তৃতীয় জন হলেন মোহাম্মদ হাসান, বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরানী দূর্লুবের পাড়া নিবাসী আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর ছেলে।

মৃত মোহাম্মদ হাসানের ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, আমার বড় ভাই মদিনা আল তাইবা মার্কেটে কাজ করতেন। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকায় তিনি তার বন্ধুর বাসায় মদিনা থেকে একটু দূরে খামারে বেড়াতে যান সেখানে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ভর্তির তিন দিন পর করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকেন তিনি। কিন্তু গত ছয় দিন থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি, তারপর শুনলাম আজ ৩১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মদিনার একটি সরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ