আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। জীবিত ১২ আসামির বাকি দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাগারে থাকা আসামি মুফতি মঈন উদ্দিন, আরিফ হাসান সুমন, সাব্বির আহমেদ ও শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির লাল পতাকা সমাবেশে বোমা হামলা হয়েছিল। বোমা হামলায় ৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়।
ওই ঘটনায় সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃণাল কান্তি সাহা। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার।
এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম ২০ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন।
আদালত মামলাটিতে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিও জানান।
মামলায় অভিযুক্ত ১৩ আসামি হলেন- মুফতি আবদুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে শেষের আটজন পলাতক রয়েছে। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। আর অপর চারজন কারাগারে ছিলেন।
-এটি
