শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


লিবিয়ায় শান্তির খোঁজে বৈঠকে বিশ্বনেতারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: লিবিয়ায় দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে চলা সংঘাত থামাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এক হয়েছেন বিশ্বনেতারা। অশান্ত লিবিয়ার শান্তির জন্য আলোচনায় বসেছেন তারা।

আজ রোববার লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও চলমান সংকটের যথার্থ সমাধানের লক্ষ্যে যুদ্ধরত পক্ষগুলো নিয়ে বিশ্বনেতারা এক টেবিলে জড়ো হন।

ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সারাজ এবং বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। লিবিয়া সংকট নিরসনের চেষ্টা হিসেবে ২০১৮ সালের পর এটিই প্রথম কোনো বৈঠক।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথ সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রা, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এছাড়া জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আরব লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শুরুর আগে এরদোগান বলেন, লিবিয়ার ‘লৌহমানব’ হাফতারকে অবশ্যই তার সংঘাতপূর্ণ মনোভাব ত্যাগ করবেন। এর আগে ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার ও বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।

২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়। ফ্রান্সও তাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ