বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

বিএনপি নেতা মাহবুব খুন: দুজনকে গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বগুড়ার চাঞ্চল্যকর সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহন ব্যবসায়ী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার দু’জন হলেন, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল ও নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মৃত কালু শেখের ছেলে পায়েল শেখ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে এদের দু’জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যার কারণ, জড়িতদের নাম বিস্তারিত প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা তার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান, বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বগুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পৌরসভার ২ নম্বর প্যানেল মেয়র ও জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম মোহনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

শাহীনের স্ত্রীর করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে ওই নেতার সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক এক সহযোগী, চারমাথার একজন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিল। অফিস কক্ষের বাইরেও কয়েকজন অপেক্ষায় ছিল।

বৈঠকে মোটর মালিকদের দু’গ্রুপের চলমান মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মাহবুব আলম শাহীনকে নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুসারে ওই নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আরও একজন তাদের নিজস্ব লোকজনদের খবর দেয় এবং চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল নিশিন্দারা উপশহর বাজারের দিকে চলে যায়।

সেখানে থাকা এক ব্যক্তি চারমাথার ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে খবর দিলে পায়েল শেখ, রাসেল ও আরও ৮-৯ জন ঘটনাস্থলের কাছে আসে। অ্যাডভোকেট শাহীন সেখানে নুনগোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিন ও মোটর মালিক গ্রুপের হিসাবরক্ষক বাপ্পীর সঙ্গে গল্প করছিলেন।

সে মোবাইল ফোনে কথা বলতে একটু দূরে সরে গেলে সুযোগ বুঝে তারা তাকে (শাহীন) উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে নিশিন্দারার দিকে পালিয়ে যায়। পথচারীরা শাহীনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহীন হত্যা মামলায় পায়েল শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাহ হুসাইনের কাছে এ স্বীকারোক্তি দেয় সে। সে হত্যায় সম্পৃক্ত ৯ জনের নাম প্রকাশ করেছে।

আরএইচ/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ