শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর জনপ্রিয়তা বেড়েছে জেসিন্ডার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন যে অনবদ্য ও অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন তার ভূয়সী প্রশংসা শোনা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। নিজ দেশে তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসবিএস-এর এক খবরে বলা হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর মুসলমানদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ দেখানোর জেরে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তার সীমা ছুঁয়েছেন জেসিন্ডা অ’ডুর্ন।

১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার পর নিউজিল্যান্ডের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানার জন্য যতগুলো জরিপ হয়েছে, তার প্রায় সবক’টিতেই নিউজিল্যান্ডের মানুষ জেসিন্ডার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ওই জরিপগুলো বলছে, জনপ্রিয়তায় বর্তমানে জেসিন্ডার ধারেকাছেও নাই নিউজিল্যান্ডের অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা। কোনও কোনও জরিপে দেখা গেছে, জেসিন্ডা যেখানে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পার্টির নেতা সিমন ব্রিজস পেয়েছেন মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন।

গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করে ট্যারেন্ট নামের এক উগ্র জাতীয়তাবাদী সন্ত্রাসী। এ হামলায় আহত হন আরও ৪৮ জন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচ জন বাংলাদেশি ছিলেন।

ওই দিন দুপরে প্রথম হামলাটি হয় ক্রাইস্টচার্চের ডিনস এভিনিউয়ের আল নূর মসজিদে। সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হামলাকারী গাড়ি চালিয়ে মাইল তিনেক দূরের লিনউড মসজিদে যায় এবং একই কায়দায় গুলি শুরু করে।

হামলাকারী এ হত্যাযজ্ঞের পুরো ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় বর্ণবাদী, অভিবাসী বিদ্বেষী, উগ্র ডানপন্থি বার্তা।

হামলা চালানোর আগে ট্যারেন্ট তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি কথিত ‘ম্যানিফেস্টো’ প্রকাশ করে। হামলার উদ্দেশ্য ও নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে সেখানে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে সে।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ