মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫

শিরোনাম :

বিশ্বে সেরা শিক্ষক কেনিয়ার তাবিছি, পেলেন মিলিয়ন ডলার পুরস্কার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় খরা আর দুর্ভিক্ষের মাঝে স্বপ্ন চাষ করেন এক শিক্ষক। প্রত্যন্ত এই এক গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে কচিকাঁচাদের পড়ান তিনি। তার কল্যাণে ওই কচিকাঁচারা হয়ে উঠেছে বিশ্বসেরা।

গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের এই শিক্ষক গ্লোবাল শিক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন এবছর। খালিজ টাইমসের খবর, শিক্ষক পিটার তাবিছি তার আয়ের ৮০ শতাংশই দরিদ্রদের দিয়ে দেন। শনিবার দুপুরে দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে তাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। তাকে দেওয়া হয় এক মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার।

তাবিছি বলেন, “প্রতিদিন আফ্রিকায় আমরা একটি নতুন পাতা উল্টাই এবং একটি করে নতুন অধ্যায় শুরু করি...। এই পুরস্কারটি শুধু আমাকেই স্বীকৃতি দেয় না, এই মহান মহাদেশের তরুণদেরও স্বীকৃতি দেয়। আমার শিক্ষার্থীরা যা অর্জন করেছে তার কারণেই আমি আজ এখানে।”

সারাবিশ্ব থেকে এই পুরস্কারের ৯ জন চূড়ান্ত দাবিদারকে পরাজিত করার পরে তিনি আরও বলেন, “এই পুরস্কারটি তাদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছে। এই পুরস্কার বিশ্বকে জানান দেয় যে এরাও কিছু করতে পারে।”

দুবাইয়ের ভার্কে ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাতীয় বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় দেশের সেরা বিদ্যালয় হয়ে উঠেছে কেনিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলের এই স্কুল। সামান্য ক্ষমতা, অপ্রতুলতা আর বহু না পাওয়াকে নিয়েও তাবিছির নেতৃত্বে বিজয়ী হয়েছে তারা। খরা ও দুর্ভিক্ষ কবলিত কেনিয়ার গ্রস্ত উপত্যকায় একটি প্রত্যন্ত অর্ধ-শুষ্ক এলাকায় পাবানি গ্রামের কেরিকো মিক্সড সেকেন্ডারি স্কুলে ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষক তাবিছি তবু নতুন জীবনের পাঠ শেখান রোজ।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, প্রায় ৯৫ শতাংশ স্কুল ছাত্রছাত্রীরা দরিদ্রতম পরিবার থেকেই আসে। তাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশই অনাথ বা হয় কেবল বাবা রয়েছেন, বা মা এবং অনেকে বাড়িতে খাবার খেতেই পায় না। মাদকাসক্তি, অল্প বয়সে গর্ভধারণ, স্কুলছুট হয়ে যাওয়া, বাল্যবিবাহ এবং আত্মহত্যা তাদের সাধারণ সমস্যা। স্কুলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে প্রায় ৭ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়, বর্ষার সময় সেটাও সম্ভব হয় না।

এই স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষক অনুপাত ৫৮:১। খুবই খারাপ ইন্টারনেট সংযোগসহ একটিই মাত্র ডেস্কটপ কম্পিউটার রয়েছে। তাও তাবিছি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতে তার শিক্ষণের ৮০ শতাংশই ওই কম্পিউটার ব্যবহার করে পড়ান।

কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উহুরু কেনয়াত্তা এক ভিডিও বার্তাতে তাবিছিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “আপনার গল্প সমগ্র আফ্রিকার গল্প। আমাদের আফ্রিকা, বহু প্রতিভার আঁতুড়ঘর।”

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ