শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান অনস্বীকার্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মহান মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান শীর্ষক আলোচনাসভা এবং নবীজিকে চিঠি লিখে জিতে নাও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এ আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বজন স্বীকৃতি ও প্রশিদ্ধ আলেমগণ। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

আজ শনিবার প্রেসক্লাবে বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে এ অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলে।

অনুষ্ঠানে ইসলমি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আল্লামা মুশতাক আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, নবীজিকে চিঠি লেখা একটি চমৎকার বিষয়। আমাদের মণীষীরাও নবীজিকে চিঠি লিখেছেন। সেসব চিঠির প্রতিটি লাইনে মিশে আছে তাদের হৃদয়ের ব্যাকুলতা। যখন আমরা সেই চিঠি হাতে নিই ভালবাসায় আমাদের হৃদয় বিগলিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমোজের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অনেক অবদান রয়েছে যা আলোচনা করার জন্য দীর্ঘ সময় দরকার। তিনি দুঃখ করে বলেন, আজ একশ্রেণির বামপন্থি আলেম সমাজের অবদান স্বীকার করতে চায় না। আল্লামা ভাসানী, হাফিজ্জি হুজুর এনারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয়ে এনাদের অনেক সাগরেদ শহিদ হয়েছেন। জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের জন্য।

সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হুজুর স. মুক্তির জন্য প্রেরিত হয়েছেন। তিনি সকল মানুুষের মুক্তির জন্য এসেছেন। তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন।

তিনি বলেন, আমি শুরু থেকেই আওয়ার ইসলাম পরিবারের সঙ্গে আছি। ইনশাল্লাহ আগামীতেও থাকবো। আওয়ার ইসলাম এর আগেও নবিজীকে চিঠি লিখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

এটি একটি ভাল উদ্যোগ। এতে করে আমাদের যুবসমাজের তরুণদের নবীজিকে পড়ার এবং জানার আগ্রহ সৃষ্টি হবে। হুজুর স. এর অনুস্বরণ আমাদের যুবসমাজকে মাদক মুক্ত করবে। আমার শরীর খারাপ থাকলেও আমি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। আজ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

প্রশিদ্ধ লেখক যাইনুল আবিদীন তার বক্তেব্যে আশ্চর্য প্রকাশ করে বলেন, আলেমদের ব্যতীত মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস হয় কীভাবে! তিনি বলেন, আজ আলেম সমাজ অনেক এগিয়ে আছেন। মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান শীর্ষক আলোচনা সময়ের দাবি। মানুষের জানা উচিৎ মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান কী?

মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের কী অবদান ছিল এনিয়ে শুধু আলোচনা সভা করলে চলবে না। বরং
গবেষণাধর্মী লেখালিখি করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান সম্পর্কে। পুরো মার্চ জুড়ে এবিষয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করতে পারলে সেটা হবে সবচেয়ে ভাল উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আমিনুল ইহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ আলেম মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, ইসলামিক ফাউান্ডেশনের উপপরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, চিন্তক আলেম মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, প্রকৌশলী আলী আবদুল মুনতাকিম।

মাকতাবাতুল আখতারের কর্ণধার মাওলানা আহমদ আলী, কওমি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুস সামাদ, এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট একিউএম ছফিউল্লাহ আরিফ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহসভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, বার্তা২৪ ডটকমের ইসলাম বিভাগের প্রধান মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, শীলন বাংলার সম্পাদক মাসউদুল কাদির।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ