শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


আরসিবিসির পাল্টা মামলা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রিজার্ভ চুরির ঘটনায় নাম জড়ানোয় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি)।

তিন বছর আগে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে জানুয়ারিতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করল ফিলিপাইনের ব্যাংকটি।

মঙ্গলবার আরসিবিসির পাল্টা এই মামলা করার খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মামলায় ফিলিপাইনের ব্যাংকটি দাবি করেছে, তাদের কোম্পানির সুনাম ও ভাবমূর্তির ওপর বার বার ‘অশুভ আক্রমণ’ চালানো হচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ কোটি পেসো (১৯ লাখ ডলার) দাবি করা হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে দায়ের করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলায় আরসিবিসি এবং এর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, কয়েক বছর ধরে ‘জটিল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে’ আসামিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।

ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেয়া হলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রিজার্ভের অর্থ চুরির কাজে ‘অজ্ঞাতনামা উত্তর কোরীয় হ্যাকারদের’ সহায়তা নেয় আসামিরা।  টাকা সরিয়ে নেয়া হয় নিউইয়র্ক ও ফিলিপাইনের আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি এবং এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর এবং পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়গুলো ঘটতে দিয়েছেন।

এ মামলার বিষয়ে আরসিবিসির আইনজীবী তাই-হেং চেং বলেন, এ মামলা যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছু নয়, সেটা আমরা আদালতে দেখিয়ে দেব। তারা নিজেদের দায় আরসিবিসির ঘাড়ে চাপাতে চায়।

এই সাইবার জালিয়াতির ঘটনা জানাজানি হলে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মানুষ বিষয়টি জানতে পারে ঘটনার এক মাস পর ফিলিপিন্সের একটি পত্রিকার মাধ্যমে।

বিষয়টি চেপে রাখায় সমালোচনার মুখে গভর্নরের পদ ছাড়তে বাধ্য হন আতিউর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদলও আনা হয়।

আইএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ