আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের ইস্তামবুলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে টিয়ার গ্যাস ও কুকুর লেলিয়ে দিয়ে কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়ার খবর গনমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু কেন এমনি করা হয়েছে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যব এরদোগান।
ইস্তাম্বুলের প্রধান সড়ক ইস্তিকাল এভিনিউয়র প্রবেশমুখে সমবেত ওই নারীদের কর্মসূচিটি ‘স্বাভাবিক’ ছিল না বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
গতকাল (১০ মার্চ) রোববার আদানা প্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এরদোগান বলেন, রিপাবলিকান পিপলস পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু নারী সদস্য তাকসিম পয়েন্টে সমাবেত হয়েছিল। তারা আজানের সময়ে মুখ দিয়ে সিটি বাজানোসহ ব্যাপক শোরগোল করেছিল। এছাড়াও বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছিল।
শুক্রবারের ওই নারী সমাবেশের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রেসিডেন্ট এরদোগান সমাবেশে প্রদর্শন করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে সমাবেশে নারীরা উচ্চ আওয়াজে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে, তার পাশেই একটি মসজিদে আজান চলছে।
এ সময় রিপাবলিকান পিপলস পার্টি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টিকে আজান ও তুরস্কের সংস্কৃতিবিরোধী বলে অবিহিত করে এরদোগান বলেন, যারা আজানকে সম্মান জানায় না এবং তুর্কি সংস্কৃতিও চর্চা করে না তারা কীভাবে দেশকে সম্মান জানাবে। তাদের হাতে এ দেশের সভ্যতা সংস্কৃতি নিরাপদ নয়।
এদিকে এরদোগানের বক্তেব্যর প্রেক্ষিতে র্যালিতে অংশ নেয়া নারীরা টুইটারে লিখেছেন, সিটি বাজিয়ে আনন্দোল্লাস করাটা তাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে ছিল না। র্যালিতে জনসমাগম বেশি হওয়ায় অনেকে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। যা নিয়ন্ত্রণ করা আয়োজকদের জন্য সম্ভব ছিল না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিটি পুলিশ প্রথমে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি সহিংসতায় মোড় নেয়ার আশঙ্কা হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। এরপর সমবেতদের তাড়িয়ে দিতে তাদের কুকুর লেলিয়ে দেয়া হয়। এতে ভয় পেয়ে অনেক নারীরা আশপাশে ছুটে পালায়।
সূত্র: আল-আরাবিয়া
এএ