শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

সিলিন্ডার নয় রাসায়ানিক পদার্থ থেকেই চকবাজারে আগুনের সূত্রপাত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতাল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। সেখানে রাখা পারফিউমের ক্যানগুলো থেকে কোন কারণে রাসায়নিক মিশ্রণ বের হয়ে বাতাসে বিস্ফোরক মিশ্রণ তৈরি হয়েছিল। ‘জিপার লক মেশিনে’ কাজের সময় সৃষ্ট তাপ বা কোনো কারণে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ ওই মিশ্রণের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ ঘটে।বিস্ফোরক পরিদপ্তর, বুয়েটসহ চারটি তদন্ত কমিটির করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডার বা বৈদ্যুতিক গোলোযোগ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আলামত পায়নি তারা। পুরান ঢাকার অন্যান্য ভবন থেকে রাসায়নিক দ্রুত না সরালে, এমন দুর্ঘটনার আশংকা থেকেই যাবে বলেও মতামত দিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্যরা।

চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিস্ফোরক পরিদপ্তর।

রাসায়নিক ব্যবসায়ীরা দাবি করছিল, রাস্তায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। তবে তাতে কান দেয়নি প্রশাসন। ভয়াবহ এই আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তত ১০টি কমিটি।

ঘটনাস্থলে সিএনজিচালিত গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত পায় ৪টি তদন্ত কমিটি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ বা শর্টসার্কিটের কোনো আলামতও না পাওয়ার কথা জানায় তারা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলছেন, ওয়াহেদ ম্যানসনের দোতলায় প্রসাধনী সামগ্রী এবং বডি স্প্রে প্রস্তুত কারখানা ও গুদাম ছিল। বিস্ফোরণের ও অগ্নিকাণ্ডের উৎসও সেখানেই।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটের তদন্ত অনুযায়ি, ওয়াদেহ ম্যানশনের ভেতরে বাতাসে দাহ্য পদার্থের ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। ছিল প্লাস্টিকের গুদাম ও দাহ্য পদার্থ। তাই আগুনের ভয়াবহতাও বেশি ছিল।

বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং বুয়েট সব তদন্ত কমিটিরই প্রথম সুপারিশ পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম দ্রুত সরিয়ে নেয়া।

উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৬৭ জন মারা গিয়েছে। কাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭১ জন মারা গিয়েছে। তারপরেই আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিস্ফোরক পরিদপ্তর। এবং বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তত ১০টি কমিটি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ