শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না যুবরাজ ও বাদশাহ সালমানের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। যুবরাজের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাদশাহ সালমান ক্ষুব্ধ বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

সৌদির সিংহাসনে আসীন হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা ছেলে মোহাম্মদকে ক্রাউন প্রিন্স নির্ধারণ করেছিলেন সালমান বিন আব্দুল আজিজ। দেশটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদসহ ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদকে।

তারপর থেকে ইয়েমেন যুদ্ধসহ সৌদির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্যাপক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এসবের জের ধরে যুবরাজের প্রতি বেশ অসন্তুষ্ট বাদশাহ সালমান।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে বাদশাহ সালমানের মিশর সফরের সময় যুবরাজের সঙ্গে টানাপোড়েন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। সেসময় রাজার কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দেন বাদশাহর উপদেষ্টারা।

সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৩০ সদস্যের নতুন একটি নিরাপত্তা দলকে তড়িঘড়ি বিমানযোগে মিশরে পাঠানো হয়। ৩০ সদস্যের প্রতিজনকে দলভুক্ত হওয়ার আগে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মিশরে বাদশাহর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত যে দলটি ছিল তার স্থলাভিষিক্ত হয় নতুন এ দল।

নতুন দল পাঠানোর কারণ হলো, পুরানো দলের কয়েকজন যুবরাজের প্রতি অনুগত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

বাদশাহ সালমান সৌদি আরবে ফিরে আসার পর তাকে স্বাগত জানাতে যারা গিয়েছিলেন সেখানে এমবিএস ছিলেন না। আর এর মধ্য দিয়ে পিতা-পুত্র টানাপড়েনের বিষয়টি প্রকাশ্য রূপ নেয়।

সৌদি বাদশাহ মিশর সফরের সময় এমবিএস দুটো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটান। এর মধ্যে আমেরিকায় প্রথমবারের মতো একজন সৌদি নারীকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ এবং যুবরাজের আপন ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া।

খালিদকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে সৌদি ক্ষমতাসীন পরিবারের একটি শাখার কর্তৃত্ব আরও মজবুত হলো। সালমানকে না জানিয়েই এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বাদশাহ মনে করেন, এত উঁচু পদে খালিদকে ঠেলে দেয়ার সময় এখনো আসেনি। সৌদি সূত্র থেকে বলা হয়েছে, টেলিভিশনের খবর থেকেই এ দুই নিয়োগ সম্পর্কে প্রথমে জেনেছেন সৌদি বাদশাহ।

গত মাসে পবিত্র কাবাঘরের ছাদে পদচারণ করে গোটা মুসলমান বিশ্বকে খেপিয়ে তুলেছেন এমবিএস। সৌদি কোনো কোনো আলেম এ নিয়ে বাদশাহর কাছে যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

আইএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ