শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


‘মেননের বক্তব্য ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে কওমী সনদকে বিষবৃক্ষ, ইসলামী শাসনকে মোল্লাতন্ত্র ও আল্লামা শফী সাহেবসহ ওলামায়ে কেরামকে কটাক্ষ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মেননের এই বক্তব্য মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত। এই বক্তব্য দিয়ে মেননরা নিজেদেরকে নাস্তিক্যবাদীর দোসর হিসেবে প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার সাথে এদেশের আপামর জনগণের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের সাহায্য ছাড়া দেশের একটি বৃহৎ অংশ কওমী মাদরাসাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। যাদের পিছনে সরকারের ন্যূনতমও কোন ব্যয় নেই। অথচ সরকারের অনুদান নিয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেখানে ছাত্র-ছাত্রী নেই, তাদের পিছনে বছরে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। তারপরও কওমী ছাত্র-শিক্ষকরা দেশগঠনে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। সৎ, যোগ্য ও ধর্মপ্রাণ নাগরিক তৈরির স্থান কওমী মাদরাসাকে রাশেদ খান মেনন 'বিষবৃক্ষ' বলে আলেম-ওলামা, ছাত্র সমাজ ও কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষ আখ্যায়িত করে মেননরা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছে। এজন্য সাংসদ রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা এবং তওবা করতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতার প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠবে।

অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, কাদিয়ানী তথা আহমদিয়া মুসলিম জামাত কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী কাফের। রাশেদ খান মেনন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে কাদিয়ানীদের পক্ষ নিয়ে ওলামায়ে কেরামগণকে গালি-গালাজ করছে। এজন্য তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল এবং তাকে গ্রেফতার করতে হবে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ