শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


প্রথম মুসলিম অভিনেতা হিসেবে ২য় অস্কার জয় মাহেরশালা আলীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কৌশিক পানাহি: খুব একটা খ্যাতিমান ছিলেন না মাহেরশালা আলী। কিন্তু ভাগ্য বদলে দিল একটা ছবি— ‘মুনলাইট’। পেয়ে গেলেন অস্কারের শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতার পুরস্কার। সেই মাহেরশালা আলী ফের অস্কার পেয়েছেন। এবার ‘গ্রিন বুক’ নামের একটি মুভিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

পুরস্কার গ্রহণের সময় দেওয়া ভাষণে মাহেরশালা আলী তার দ্বিতীয় অস্কার জয় দাদিকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমি আমার দাদিকে উৎসর্গ করছি; যিনি আমার জীবনে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আমি যতবার ব্যর্থ হয়েছি, তিনি চেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন। আমি আজ এখানে আসতে পারতাম না, তিনি না থাকলে।’

ব্যাপ্টিস্ট পরিবারে জন্ম মাহেরশালা আলীর, যিনি পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। আর তিনিই প্রথম মুসলিম অভিনেতা যিনি দুইবার অস্কার পুরস্কারে সম্মানিত হলেন।

আলীর তিন বছর বয়সে তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই খুব কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। তবু মায়ের দুঃখটাকে সামাল দিতে নিজের মনকে শান্ত করেছিলেন শিশু আলী।

বয়স যখন ৯/১০ বছর তখন তাঁর মা আবার বিয়ে করেন। সৎ বাবার সঙ্গে খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না তাঁর। সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হতো তাঁর ওপর। আর এর ব্যাখ্যা তিনি কখনো পেতেন না।

তাঁরা খুব গরিব ছিলেন না, কিন্তু আর্থিক অনটন সংসারে লেগে থাকত প্রায় সময়। শৈশব খুব একটা মন্দ ছিল যে তা নয়। কিন্তু আলী হতাশ ছিলেন চারপাশের পরিবেশ দেখে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশের নষ্ট হয়ে যেতে থাকা পরিবেশটা নিয়েও ভাবতেন তিনি। দেখেছেন এইডসে আক্রান্ত হয়ে ২৮-২৯ বছর বয়সেই বাবার বন্ধুদের মৃত্যু। দেখেছেন আত্মীয়-বন্ধুর খুন, জেল খাটা, মাদক ব্যবসা—এমন নানা অপরাধ। আরেক দিকে ছিল নিজের বাবাকে সব সময়ের জন্য কাছে পাওয়ার আকুল আকাঙ্ক্ষা। এ সবকিছুই তাঁকে ভাবাত। ইনসমনিয়ায় ভুগেছেন। সারা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। আর তখনই প্রথম প্রেমে পড়েছেন শিল্পের। সারা রাত বসে কবিতা লিখতেন।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ