আওয়ার ইসলাম: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজেতমা শুরু হবে আগামী কাল থেকেই। আখেরী মুনাজাত হবে ১৬ তারিখ। বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। তাবলিগ সাথী, সাধারণ মুসল্লি ও কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ময়দানের যাবতীয় কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ রাতেই দূর-দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছে আল্লাহওয়ালারা।
যে কাজগুলো এখনো পূর্ণ হয়নি, মাঠের একাংশে বাশের খুঁটিতে চট টানানোর কাজ অল্প একটু বাকী আছে। সেখানে চট টানানোর কাজ চলছে, শেষ হয়ে যাবে আজকের মধ্যেই। ময়দানে বিদ্যুৎতের তার টানানো, গ্যাসের লাইন স্থাপন ও পানির লাইনেরও কাজ চলছে একইসঙ্গে।
উঁচুনিচু সমান করতে মাঠের পূর্ব পাশে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বালু দিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ করছে নিরলসভাবে।
ইতোমধ্যে যে কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে, বিদেশি মেহমানদের কামরার প্রস্তুত হয়েছে। মূল মঞ্চের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। ৮ হাজার পাকা টয়লেট ও ১ হাজার অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তুরাগ নদী পারি দিয়ে ময়দানে ঢুকার যাতায়াতের সুবিধার্থে তুরাগ নদীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৮টি ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছে।
সব কাজ শুরু হয়ে শেষের দিকে। মাঠের বাকি সামান্য কাজ খুব দ্রুত গুছিয়ে আনার চেষ্টারত আছেন হাজার হাজার কওমি জেনারেল শিক্ষার্থী ও তাবলিগ সাথীহস সাধারণ মুসল্লিরা।
এবারের বিশ্ব ইজতেমা দু‘পর্বে হবে। প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত দশ এগারটার মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানান ইজতেমা ইন্তেজামি কমিটির এক উর্ধতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, সরকার আমাদেরকে সর্দাত্ত্বকভাবে সহযোগিতা করছেন। সরকারে বিভিন্ন এজেন্সি, ডিপার্টমেন্টেন কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত আছেন। তাদের সঙ্গে সার্বক্ষিণিক যোগাযোগ রয়েছে আমাদের।
নিরপত্তার জন্য লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এ সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে পুরো ইজতেমা ও তার আশপাশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
-এটি