আওয়ার ইসলাম: ‘আমি দেশকে ভালবাসি। তাই দেশের সর্বোচ্চ কল্যাণের জন্য দায়িত্ব নিয়ে লড়বো।”-একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অসংখ্য দর্শক-শ্রোতার সামনে এ কথা বলেছিলেন তিনি। সেই কথামতোই আমেরিকায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার কথা ঘোষণা দিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর কমলা হ্যারিস।
এর আগে চলতি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট সিনেটর তুলসি গাব্বার্ড।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত জ্যামাইকান তরুণী কমলা হ্যারিসকে অনেকেই বলছেন, মহিলা বারাক ওবামা। কারণ প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেলে তিনিই হবেন এই পদের জন্য লড়াইয়ে নামা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা। আর নির্বাচিত হলে তিনি হবেন বারাক ওবামার পর এই পদে দ্বিতীয় আফ্রিকান-আমেরিকান, আর একই সঙ্গে প্রথম এশিয় ও আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা।
জ্যামাইকা ও ভারতীয় অভিবাসী দম্পতির মেয়ে, আমেরিকার নাগরিক কমলা হ্যারিস, ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ছিলেন ওই রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল। এবার তার লক্ষ্য, প্রেসিডেন্ট পদ।
সূত্রের খবর, ৫৪ বছরের কমলা হ্যারিস বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি দৌড়ে মনোনয়নের লড়াইয়ে যোগ দেওয়া পঞ্চম ডেমোক্র্যাট তিনি।
তথ্য বলছে, ২০২০ সালেই এই প্রথম ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে একাধিক মহিলা প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে নামতে চলেছেন। এটা এক রকম রেকর্ড!
কমলা হ্যারিস আগামী রবিবার থেকে নির্বাচনি প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
হ্যারিসের মা ভারতীয়। তরুণী বয়সে আমেরিকায় এসছিলেন তিনি। হ্যারিসের বাবা আফ্রিকার জ্যামাইকার বাসিন্দা ছিলেন। হ্যারিসের সাত বছর বয়সে তার বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর থেকে মায়ের কাছেই বড় হন হ্যারিস ও তার বোন।
কেপি