শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারত শিগগিরই চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার শুরু করবে বলে জানা যায়। গতকাল এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

পত্রিকাটির বরাতে জানা যায়, এ ছাড়াও প্রায় ৩০০ কোটি রুপি ব্যয়ে পিআইডব্লিউটিটি নামের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে কুশিয়ারা নদীর ৩০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আশুগঞ্জ-জাকিগঞ্জের অংশ এবং যমুনা নদীর ১৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সিরাজগঞ্জ-দইখোওয়া অংশে সারাবছর যাতে নৌযান চলাচল করতে পারে, সেই লক্ষ্যে নদী শাসনেও ভারত ও বাংলাদেশ একমত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-দৈখোলা অংশটি গঙ্গা (ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-১) এবং ব্রহ্মপুত্রের (ন্যাশনাল ওয়াটারওয়ে-২) মধ্যে নৌযান চলাচলে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে এই দুটি নৌপথ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বৃহৎ আকারের ভারতীয় জাহাজ আসামের সাদিয়া এবং উত্তর প্রদেশের বেনারসের মধ্যে কানেকটিভিটি নিশ্চিত করবে।

পত্রিকাটির রিপোর্টে আরো বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উন্নত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বা দূরপ্রাচ্য নীতির অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এবং বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারে বিস্তৃত জলপথ প্রকল্পের একটি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করছে।

গত ২রা জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় পঞ্চদশ ফিন্যান্স কমিশনের কাছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কিত একটি উপস্থাপনা পেশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্কটি বাণিজ্যকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ভারতের ‘চরম প্রান্তে’কে ‘ভারতের হৃদয়’ এর সঙ্গে যুক্ত করবে।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা বর্তমানে অত্যন্ত সংকুচিত অবস্থায় থাকা শিলিগুড়ি করিডরকে কি করে বিস্তৃত করা যায়, সেদিকে এগুচ্ছি এবং কার্গো ও যাত্রী চলাচলের জন্য একটি বিকল্প তৈরি করছি।

২১০৫ সালে স্বাক্ষরিত ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড (পিআইডব্লিউটিটি) এর আওতায় উভয় দেশের মধ্যে চিহ্নিত নৌপথগুলো ব্যবহার করার জন্য ভারতীয় ও বাংলাদেশি জাহাজগুলোকে অনুমতি দেয়।

ভারত ২১০৫ সালের এপ্রিল মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ শর্মা ওলির ভারত সফরকালে নেয়া সিদ্ধান্ত মতে ভারত ও নেপালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথ সংযোগ স্থাপনেরও চেষ্টা করছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর