শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


দেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন কাতার প্রবাসী খতীব মাওলানা সাইফুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: দেশে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কাতার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ মসজিদের বাংলাদেশি খতিব হাফেজ কারী মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

সারাদেশে বেশ কিছু মাহফিল এবং নিজের মাদরাসা ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য গত ৯ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ আসেন। পরদিন থেকেই মাহফিল নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তিনি।

মাওলানা সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কাতার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ মসজিদে খেদমতে রয়েছেন। কুরআনের অসাধারণ তেলায়াত ও চমৎকার খুৎবা উপস্থাপনায় তিনি সেখানকার সাধারণ মানুষসহ উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের মন কেড়ে দিয়েছেন।

বাংলাদেশে এবার শীতকালীন সময়ে মূলত মাহফিল উপলক্ষ্যেই আসা বলে জানালেন কারী মাওলানা সাইফুল ইসলাম। থাকবেন প্রায় ৩ মাস। এ সময়ে তিনি ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট এবং অন্যান্য জেলায় মাহফিল করবেন।

বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি এ সফরে ভারতে যাবেন মাহফিল করতে। সেখানে কয়েকটি প্রোগ্রামে তিনি অতিথি বলে জানিয়েছেন আওয়ার ইসলামকে। কালারস এফএমে রয়েছে বেশ কিছু প্রোগ্রামও।

হাফেজ সাইফুল ইসলাম ঢাকার শনিরআখড়ার (যাত্রাবাড়ী) মারকাজুত তানযীল আল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। গত কয়েক বছর ধরে মাদরাসাটি বেশ সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে।

মারকাজুত তানযীলের নতুন বছরের ভর্তি শুরু চলছে। জানুয়ারিতে শুরু হবে নতুন ক্লাস। ইতোমধ্যেই হিফজ-নাজেরার জন্য মাদরাসাটি পরিচিত হয়ে ওঠেছে ধর্মীয় শিক্ষার্থী মহলে। এখানকার হিফজ শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষা সাফল্য ঈর্ষণীয়। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা লাভ করছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

মাওলানা সাইফুল ইসলাম দেশে দাওরায়ে হাদিস পড়ার পর কাতার ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। দেশের বাইরে অনেকগুলো পুরস্কার জিতেছেন।

এসবের মধ্যে ২০০৪ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ২য় স্থান, ২০১০ সালে জর্ডানে আন্তর্জাতিক তাফসীরুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান, ২০০৪ সালে সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৪র্থ স্থান, ২০০৯ সালে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ৪র্থ স্থান, ২০১৫ সালে আবারও জর্ডানে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করেন।

হাফেজ কারী সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইসলাম প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হলো ওয়াজ মাহফিল। এদেশে শীতকালীন সময়ে প্রচুর মাহফিল হয়ে থাকে। মানুষ জন সেখান থেকে আত্মার খোরাক পায়। প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ কিছু মাহফিল জমেছে আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালোবেসে আমাকে স্মরণ করে থাকে। আমারও ভালো লাগে এসব মাহফিলে অংশ নিয়ে দীন তালাশকারী মানুষদের জন্য কিছু বলতে। সে সুযোগ পাওয়ায় আমিও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করি।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ