শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ৩০ আসনের বেশি পাবে না আওয়ামী লীগ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসনে জয়ী হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা দিন না সুষ্ঠুভাবে, দেখেন, কে কতটা আসন পান। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি, ৩০টার বেশি আসন পাবেন না।

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, উনার কথার প্রতিক্রিয়া আমি দিতে চাই না কখনো। কারণ অধিকাংশ কথা অবান্তর বলেন তিনি।

জামায়াতকে কত আসন ছাড়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন,  কেউ জামায়াত নাই। এখন সব ধানের শীষ। জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি একটি জিনিস ভয় পান, সেটা হলো সুষ্ঠু নির্বাচন।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ও পঞ্চদশ সংশোধনীর কারণে বাংলাদেশে একদিকে জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারগুলোকে হরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সব সম্ভবনাকে রুদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বিগত সাত বছর যাবৎ এই সংশোধনী ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনও আমরা এসব কারণে বর্জন করেছিলাম। আজ দায়িত্বশীল সকল রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠন সকলেই এই বিষয়ে একমত যে বর্তমান ব্যবস্থায় কোনো অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। এটাই এখন এই মুহূর্তে জাতির সবচেয়ে বড় সংকট। এই সংকট সমাধানের জন্য আমরা বার বার আলোচনার কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।

‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, বর্তমান সংসদ বাতিল, কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা, প্রশাসনের রদবদলের দাবি করে আসছি। এই কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের পক্ষে থেকে সাত দফা দাবি জানিয়েছি। সরকার কোনো কর্ণপাত না করে একতরফাভাবে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি প্রহসনের নিবাচন অনুষ্ঠান করতে চলেছে।’

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ