শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না করতে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবাণী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন না করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন এখনও প্রস্তুত নয়।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি সই করেছে।বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রথম দফায়  দুই হাজার ২৬০ জনকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ ঠিক করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর আগে সেখানকার পরিস্থিতি বোঝার জন্য মিয়ানমারে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দরকার।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ করতে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মেনে চলতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পড়ে গত বছরের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মিয়ানমার। ওই চুক্তিতে প্রত্যাবাসনে শুরুর নির্দিষ্ট সময়ও ঠিক করা হয়।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন এবং ফেরার পর নিরাপদ ও সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিন্ট থোয়ো।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ২২ হাজার ৪৩২ জন রোহিঙ্গার নতুন তালিকা হস্তান্তর করেছে। অতপর প্রত্যাবাসনের জন্য দেয়া তলিকা যাচাই বাছাই করে থেকে আট হাজার রোহিঙ্গাকে নিজ দেশের  নাগরিক বলে স্বিকার করেছে মিয়ানমার।

কিন্তু সেই তালিকা স্বাক্ষরিত চুক্তিতেই থমকে যায়। নানা টালবাহনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিহা ও গড়িমসি করেই যায় মিয়ানমার।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো। কিন্তু জাতিসংঘ এর প্রতিবাদ জানায়। এবার এর সঙ্গে যোগ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

এই প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলা, ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার জন্য দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

রাখাইন রাজ্যে সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সামাধানের জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালনে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান, চলাফেরার স্বাধীনতা, জীবিকার অধকারসহ আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ