শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


অশ্লীল যুগের পার্শ্ব চরিত্রের আদিম যুগের নির্যাতন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ফেনী শহরতলীর শর্শদি এলাকায় প্রিয়াংকা আক্তার নামে ৬ বছরের এক কন্যা শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে পালক মার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে জোহরা আক্তার নামে এক নারী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির পালক মা শাহানা আক্তার শাহিনীকে আটক করেছে।

জানা যায়, শিশুটির পালক মা চলচ্চিত্রের অশ্লীল যুগের পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেত্রী শাহানা আক্তার শাহেনী। মোমবাতির আগুন দিয়ে তিনি শিশুটির শরীরে ছেঁকা দিতেন।

জোহরা আক্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শর্শদী ইউনিয়নের গজারিয়া কান্দি এলাকার পাঠান বাড়ি সংলগ্ন একটি সড়কে শিশুটিকে ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে কাঁদতে দেখে তাকে বাড়ি নিয়ে যান। পরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। মেয়েটি তার নাম প্রিয়াংকা ও মায়ের নাম শাহিনী (পালক মা) শুধু এ তথ্য দিতে পেরেছে।

শরীরের ৫০ শতাংশ ঝলসে যাওয়াসহ শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত থাকায় হাসপাতালে বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছে শিশুটি। চিকিৎসকরা জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও অর্থ সঙ্কটসহ অভিভাবক না থাকায় ফেনী সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই বাড়ির গৃহকর্তী শাহানা বেগম রাজধানীর ঢাকায় বসবাস করলেও মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়ি আসতো। আর দীর্ঘদিন ধরে বাবা মা হারা এতিম প্রিয়াংকার উপর শাহানা কারণে-অকারণে চালিয়ে আসছিল নির্যাতন। শিশুটি পালক হিসেবে থাকলেও তাকে দিয়ে ঘরের কাজ কর্ম করাতো গৃহকর্তী। সম্প্রতি শাহানা বেগম গ্রামের বাড়িতে এসে শিশু প্রিয়াংকাকে মোমবাতির আগুন দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে ঘরেই বন্দি করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার মধ্যরাতে অভিনেত্রী শাহানা আক্তার শাহেনীকে আটক করে। শাহেলা আকতারকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

এর আগে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশ মেয়েটির ওপর নির্যাতনের আলামত খুঁজে পায়। এবং একটি ঘরে কয়েকটি জায়নামাজ (নামাজের বিছানা) দেখতে পায়।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে শাহেনী দোষ স্বীকার করে বলেন, তার ওপর জ্বিন ভর করতো সেসময় প্রিয়াঙ্কার শরীরে আগুনের ছেঁকা দিলে জ্বিন চলে যেত। আর সে কারণেই তাকে তিনি আগুনের ছ্যাকা দিতেন।

‘ছেলেরা আমার গায়ে হাত দিলে বিচ্ছিরি লাগে’

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ