বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


আবারো মুসলিম সম্প্রদায়কে হেয় করে তসলিমার স্ট্যাটাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

হিন্দু ধর্মালম্বীদের বড় কর দেখাতে গিয়ে আবারো মুসলিম সম্প্রদায়কে হেয় করলেন ভারতে নির্বাসিত বাংলাদেশি বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস নিয়ে নতুন করে আবার বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।

মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুদের ত্যাগ বেশি মন্তব্য করে তিনি ওই স্ট্যাটাসে লেখেন- মাঝেমধ্যে ভাবী, মুসলমানরা প্রচণ্ড আরামে আছে, সারা বছর মোগলাই খান, ননস্টপ খেয়েই যাচ্ছে। বছরে এক মাসের জন্য একটা উপোসের মাস আসে বটে, ওই মাসটায় সবচেয়ে বেশি ভোজন চলে। মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের ত্যাগ যে কী ভয়াবহ, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

মুসলিমদের খাটো করে এমন স্ট্যাটাস দেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। অনেকে বলছেন, ‘প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মের পক্ষে বলবে এটাই স্বাভাবিক। তাসলিমা গোপনে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাই তার ধর্মের পক্ষেই বলছে।’

গবেষণায় দেহ দান করলেন তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসরিনের সম্পূর্ণ ফেসবুক স্ট্যাটাস আওয়ার ইসলাম পাঠকদের জ্য তুলে ধরা হলো- 

‘আমার এক বন্ধু গাড়িতে বসেও ভগবানের নাম জপে। প্রতিদিন সকালে চান সেরে পুজো করতে বসে। নবরাত্রি চলছে, প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে পুজো করছে, ব্রত পালন করছে, ফল আর জল ছাড়া আর কিছু খাচ্ছে না। এমনিতে শনি বেস্পতিবার আর মঙ্গলবারে মাছ মাংস খায় না।

কিছুদিন পর পরই অবশ্য মাছ মাংস বন্ধ থাকে। একবার বলে পিতৃপক্ষ চলছে, মাছ মাংস চলবে না। আরেক বার বলে শাওন মাস চলছে, পুরো শাওন মাস মাছ মাংস বন্ধ। আবার বলে পুজো এসে গেছে, মাছ মাংস তো বন্ধই, সবজি চলবে শুধু, তবে পেঁয়াজ রসুন বাদ দিয়ে।

Image may contain: text

সারা বছর এই ব্রত সেই উপোষ লেগেই আছে। বন্ধুটি কিন্তু কোনও গেরুয়া পোশাকের সন্ন্যাসি নয়। রীতিমত আধুনিক পোশাক পরা সাংবাদিক, যাকে লোকে প্রগতিশীল বলে গণ্য করে।

মাঝে মধ্যে ভাবি, মুসলমানেরা প্রচণ্ড আরামে আছে, সারা বছর মোগলাই খানা নন স্টপ খেয়েই যাচ্ছে। বছরে একটা উপোষের মাস আসে বটে, ওই মাসটায় সবচেয়ে বেশি ভোজন চলে । মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের ত্যাগ যে কী ভয়াবহ, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

দুর্গম পাহাড়ে উঠছে মন্দিরে যাওয়ার জন্য। মাইলের পর মাইল গঙ্গাজল কাঁধে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দূরের মন্দিরে। সারা রাত নদীর জলে কোমর অবধি ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, হাতে ধরে রাখে ফলের ঝুড়ি, সূর্য দেবতার পুজো হবে। ভগবানকে পেতে গুরু ধরে এরা, গুরুরা ঠকিয়ে সর্বনাশ করে। মনে হয় না আর কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায় মুসলমানদের মতো এত ভোগ বিলাসে ব্যস্ত থাকে।’

তবে তার এই স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই তাকে নতুন করে ইসলামে প্রবেশের দাওয়াত দিয়েছেন। আর বলেছেন, মুসলিমরা সত্যান্বেষী তাই আল্লাহ তাদের সুখে রেখেছেন। ভালো ভালো খাওয়াচ্ছেন। আপনিও ফিরে আসুন সত্য ও ‍সুখের আলয়ে।

২৫ বছর ধরে অসুস্থ স্বামীর খেদমতে এক সৌদি নারী

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ