শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


'তিন তালাক অর্ডিন্যান্স মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ আদনান
ভারত থেকে

ভারতে সদ্য পাস হওয়া তিন তালাক অর্ডিন্যান্স মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আযহারুল হিন্দ দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী৷

তিনি বলেন, তিন তালাকের ওপর সরকারিভাবে আইনী হস্তক্ষেপ  মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত৷ হিন্দুস্তানি সংবিধান প্রত্যেককে স্বাধীনতার সাথে জীবন যাপনের অধিকার দিয়েছে৷ কিন্তু মোদী সরকার একের পর এক মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেই যাচ্ছে৷ মুসলমানদের জন্য এমন অবিবেচ্য রায় কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না৷

সুপ্রভাত মাদরাসা

তিন তালাকের এই রায়কে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত সাব্যস্ত করে এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন তিনি৷

তিনি বলেন, মুসলমানদের বিয়ে বা তার পদ্ধতি যেমন সম্পূর্ণভাবে মুসলমানদের নিজস্ব একটি ধর্মীয় বিষয় অনুরূপভাবে তালাক  বা বিচ্ছেদের পন্থাও তাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিষয়৷ এর মাঝে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, সেটা যে কোন সরকারের পক্ষ থেকেই হোক না কেন৷ আমরা এই তিন তালাক রায়কে সংবিধান বিরোধী বলেই মনে করি৷

মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাবেক রুকন মাওলানা সাজ্জাদ নোমানী বলেন, মোদী সরকার নিজেকে মুসলিম মহিলাদের প্রতি শুভাকাঙ্ক্ষী সাব্যস্ত করত: তিন তালাক বাতিল করেছে৷ কিন্তু বাস্তবতা হলো মোদি সরকার কোন ক্রমেই মুসলমানদের বিন্দুমাত্রও হিতাকাঙ্খী নয়৷ যদি তাই হতো তাহলে তিনি তিন তালাক বাতিল করার বিপরীতে তিন তালাককে বহাল করার জোরদার পদক্ষেপ নিতেন।

তিনি বলেন, তিন তালাক বাতিল করে শাস্তি স্বরূপ তিন বছরের কারাদণ্ড সাব্যস্ত করাটা মূলত মুসলমানদের মাঝে অনাচার বৃদ্ধিরই নামান্তর৷ তাই আমি মনে করি উক্ত রায় দিয়ে মোদী সরকার মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছে৷ সুতরাং, তিন তালাক আইনের বিপরীত রায় সম্পূর্ণভাবে একটি অগ্রহণযোগ্য এবং অবিবেচ্য রায়৷

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদ মাদানী বলেন, ভারতীয় সংবিধানে দেয়া মুসলিম অধিকারের মাঝে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই৷ আমি মনে করি, মুসলমানদের উক্ত অধিকারের মাঝে হস্তক্ষেপ করাটা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল৷

তিনি বলেন, সুতরাং শরীয়তের খেলাফ কোনো রায় মুসলিমরা মানবে  না৷ শরীয়ত অনুযায়ী জীবন যাপন করার মাঝেই মুসলিম মহিলাদের জন্য প্রকৃত ইনসাফ বিদ্যমান৷ মুসলিম মহিলাদের জন্য আদালতে পাস হওয়া আইন এর মাঝে ইনসাফ তো নেই-ই বরং উক্ত রায়ের মাঝে মুসলিম মহিলাদের প্রতি  চরম অবিচার করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন:
সংসদে পাস হওয়া কওমি মাদরাসা সনদের বিলে যা আছে
কওমী স্বীকৃতিকে কীভাবে দেখছেন অভিভাবকরা?
প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জনতার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন

কম খরচে কওমী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের বিস্তারিত তথ্য জানুন

আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ