বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


ক্ষমতার নয়, সমঝোতা হোক আদর্শের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পলাশ রহমান
ইতালি থেকে

অল্প কিছু দিন আগে আওয়ার ইসলামে প্রকাশিত একটা আর্টিকেলে লিখেছিলাম, আমাদের দেশের ইসলামপন্থীরা আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথে জোট করতে রাজি হয়, কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো জোট বা নির্বাচনী ঐক্য করতে রাজি হয় না।

বাক্যটা লিখেছিলাম দেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর অতীত আচারণের আলোকে।

লেখার সময় একবারও ভাবিনি এত অল্প দিনের ব্যবধানে বাক্যটি আবার লিখতে হবে। কিন্তু তাই হচ্ছে, আজ আবার বাক্যটা রিপিট করতে হচ্ছে।

হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির সাথে ৬ শর্তে নির্বাচনী সমঝোতা করেছে আল্লামা আজিজুল হকের রহ. প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এর আগে দলটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চার দলীয় জোটে ছিল।

২০০৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের সাথেও ৫ শর্তে ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছিল। সে ঐক্য অবশ্য আলোর মুখ দেখার আগেই ভেস্তে যায়। আওয়ামী লীগের বাম মিত্রদের চাপে শেখ হাসিনা ওই ঘোষিত ঐক্য থেকে সরে গিয়েছিলেন।

সে সময় আজিজুল হক রহ. বেঁচে থাকলেও এখন দলটির নেতৃত্বে আছেন তাঁর ছেলে মাওলানা মাহফুজুল হক।

বাংলাদেশের হাজারো ওলামা হযরতদের ভালোবাসার সংগঠন খেলাফত মজলিস হঠাৎ কেনো এরশাদের সাথে নির্বাচনী সমঝোতা করতে গেলো? কী লাভ হবে, কার লাভ হবে এই সমঝোতায়?

আমরা জানি সাধারণত রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুই ধরনের ঐক্য বা সমঝোতা হয়- (এক) নীতি বা আদর্শগত ঐক্য, (দুই) ক্ষমতাগত ঐক্য।

জাতীয় পার্টি এবং মজলিসের মধ্যে কিসের ভিত্তিতে ঐক্য বা সমঝোতা হয়েছে, ক্ষমতার নাকি আদর্শের?

নীতি বা আদর্শের প্রশ্নে তাদের মধ্যে ঐক্য হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দুই দল ভিন্ন দুই আদর্শ ধারণ করে। মজলিস ইসলামকে রাজনৈতিক আদর্শ মেনে রাজনীতি করে। জাতীয় পার্টির আদর্শ হলো গণতন্ত্র বা এ জাতীয় কিছু একটা হবে। সুতরাং নীতি বা আদর্শগত সমঝোতার সুযোগ এখানে নেই।

তাদের মধ্যে ক্ষমতাগত ঐক্য হতে পারে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে মজলিসকে ক্ষমতার অংশিদারিত্ব দেয়া হবে বা মজলিসের দুই একজনকে সাংসদ হতে সহযোগিতা করা হবে, পর্দার আড়ালে এমন চুক্তি তাদের মধ্যে হতে পারে।

যেমনটা হয়েছিল বিএনপির সাথে ইসলামি ঐক্যজোটের। ওই ঐক্যের ভিত্তিতেই আমরা মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. কে এমপি হতে দেখেছি। জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে এমপি হতে দেখেছি। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখেছি।

সুতরাং জাতীয় পার্টি এবং মজলিস সমঝোতায় দৃশ্যমান যে ৬ দফা জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তা কোনো কাজের দফা নয়। একটা ফরমালিটি মাত্র। কারণ এরশাদের জাতীয় পার্টি বা তার নেতৃত্বাধীন কথিত ৬০ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট ক্ষমতায় গেলে ওই ৬ শর্ত পূরণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

তারা ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না। তারা ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করতে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়।

তাছাড়া একটু মনোযোগ দিলে বোঝা যায় প্রকাশিত ৬ দফা মূলত রাজনৈতিক চাতুরতায় ভরপুর। সেখানে বলা হয়েছে, কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না। কিন্তু কুরান সুন্নাহ বিরোধী যেসব আইন রয়েছে সেগুলোর কী হবে? ও বিষয়ে কিন্তু কিছু বলা হয়নি।

ওগুলো মেনেই কী আমাদের ওলামা হযরতরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন? ক্ষমতার অংশিদারিত্ব গ্রহণ করবেন?

সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস কথাটি পুনঃস্থাপন করতে হবে। এতে ইসলাম বা মুসলমানের কী স্বার্থ রক্ষা হবে? এতে কী সত্যিকারার্থে কোনো লাভ বা ক্ষতি আছে? বরং মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে সংবিধানের মূল চার নীতিতে ইসলামি আদর্শ বা নীতি যুক্ত করা জরুরি।

যা অতীত বর্তমানের কোনো চুক্তিতে কেউ উল্লেখ করেনি। দেশের কোনো ইসলামি দলকে এই দাবি নিয়ে মাঠে নামতে দেখা যায়নি।

কওমি শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি বিষয়ক আইন ইতমধ্যে মন্ত্রী পরিষদ অনুমোদন দিয়েছে। সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে আরো আগে। নতুন করে এই দফা দেয়ার থেকে দেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দফা দেয়া বেশি জরুরি ছিল।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? শিক্ষা ব্যবস্থার নীতিনির্ধারণ ক্ষমতা কাদের হাতে? আমাদের নতুন প্রজন্ম কী শিক্ষা পাচ্ছে? পাঠ্য পুস্তকে কাদের লেখা, কী লেখা বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, তা কী আমাদের ওলামা হযরতগণ জানেন না?

বাংলাদেশে এমনিতেই সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করে। যা পৃথিবীর অনেক দেশেই করা সম্ভব হয় না। এমন কী মুসলিম ধর্মে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী কাদিয়ানি, শিয়ারাও ব্যাপক স্বাধীনতা ভোগ করে বাংলাদেশে।

সুতরাং আলাদা করে এ দফা দেয়ার মধ্যে বিশেষ কোনো কৃতিত্ব নেই। বরং গণমানুষের ধর্ম চিন্তায়, চেতনায় আঘাতকারী নাস্তিক মুরতাদসহ জাতীয় ঐক্যে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে আইনি দফা দেয়া বেশি জরুরি ছিল।

জাতীয় স্বার্থেই দেশে ব্লাসফেমি আইন করা বেশি জরুরি সে কথা বলা দরকার ছিল। আমরা তা খুঁজে পাইনি ঘোষিত ৬ দফায়।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ এবং তার জাতীয় পার্টির বর্তমান ভূমিকা কী জাতির কাছে পরিস্কার? তারা জাতীয় রাজনীতিতে কী রোল প্লে করছে?

এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত। কী কাজ করেন তিনি? কোথায় দূতিয়ালি করেন? কিসের দূতিয়ালি করেন? মাঝে-মধ্যে ভারতে যাওয়া ছাড়া তো আর কিছু করতে দেখি না।

এরশাদের স্ত্রী রওশন সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী। অন্যদিকে তার দলেই দুজন এমপি সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং তার দল জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সদস্য। এমন উদ্ভট, ভটভট বিরোধী দল কী পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে? ছিল কখনো?

এত কিছু জেনেও মজলিস কেনো জাতীয় পার্টির সাথে জোট করলো? তারা কী গ্রাম্য প্রবাদের ভাষায় ‘বিয়াইর পাতে ডাল দেয়ার’ মতো করে আওয়ামী লীগে যোগ দিলো বা আওয়ামী লীগের সাথেই জোট করলো?

আমি মনে করি মজলিস আওয়ামী লীগের ব্লু-প্রিন্টে প্রভাবিত হয়েছে। তারা হয়তো আগামী দিনে এরশাদের সাথে উদ্ভট, ভটভট বিরোধী দলের সদস্য হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছে। যা দেশের ইসলামপন্থী রাজনীতির জন্য শুধু দূর্ভাগ্যজনকই নয়, আশঙ্কাজনকও বটে।

তবে আশা জাগানো বিষয় হলো- মজলিস নেতাদের এই ‘ঘুরিয়ে নাক ছোঁয়া’ সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেন নি আল্লামা আজিজুল হকের রহ. অপর ছেলে যুব মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

তিনি বেশ বিচক্ষণ কথা বলেছেন, আওয়ার ইসলামে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জাতীয় পার্টির সাথে মজলিসের জোট ইমেজ সংকট সৃষ্টি করবে।


মামুনুল হকের বক্তব্য আমি আগেও শুনেছি। টেলিভিশনের টকশোতে কথা বলতে দেখেছি। তার লেখা পড়েছি। তাকে একজন আধুনিক, বিচক্ষণ মানুষ মনে হয়েছে। তার রুচিশীলতা, চিন্তার গভীরতা এবং নিজের কর্মের প্রতি আত্মবিশ্বাস আমাকে মুগ্ধ করেছে।

কিছু দিন আগে তিনি যুব মজলিসের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে একটা মিছিল করেছিলেন। তার ওই মিছিল নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বেশ হাসাহাসি হয়েছিল। অনেকে শব্দ করে হেসেছিল।

কিন্তু আমার কাছে একটুও হাস্যকর মনে হয়নি। যৌক্তিক ওই ইস্যুতে যখন অন্য কেউ রাস্তায় নামতে সাহস করেনি, তিনি মেনেছিলেন। হোক সংখ্যায় কম, তিনি সাহস করে, নিজের কর্মের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে রাস্তায় নেমেছিলেন। যা অনেকেই পারেনি। বড় সংগঠন, বড় জনসমর্থন নিয়েও পারেনি।

আমি মনে করি বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতি সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য মামুনুল হকদের মতো নেতা প্রয়োজন। আধুনিক, বিচক্ষণ, আত্মসম্মনবোধ সম্পন্ন এবং আত্মবিশ্বাসী নেতা প্রয়োজন।

যারা পরগাছা হয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবে না। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতি কারো কাছে বন্দক রাখবে না। বরং ইসলামকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বতন্ত্র শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেদের মধ্যে নির্বাচনী ঐক্য, ইস্যুভিত্তিক সমঝোতা গড়ে তুলতে নিয়ামক ভূমিকা রাখবে।


বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের ঐক্য খুব একটা সুখকর নয়। এক সময় জামায়াতের মরহুম নেতা গোলাম আজম ইসলামপন্থীদের ঐক্যের জন্য চেষ্ট করেছিলেন। তার সে চেষ্টা শুধু ব্যর্থই হয়নি, এত বেশি তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল যে আজ অবধি জামায়াত আর কখনো ওপথে হাঁটে নি।

এরপর অনেক আশা-ভরসা নিয়ে গঠিত হয়েছিল ইসলামি ঐক্যজোট। তাও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এখন যা আছে তা শুধু ব্যানার।

এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি ঐক্যজোটের সবচেয়ে বড় দল ইসলামি আন্দোলন ব্যাপক তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জোট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এর পরেও অনেক ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে, অরাজনৈতিক হেফাজত আন্দোলনে তারা এত বেশি তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে যে, এখন একলা চলতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করছে।

কোনো এক অদ্ভুত কারনে সমাদর্শের দলগুলোর ভেতরেই ইসলামি আন্দোলনের উত্থানে গাত্রদাহ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সমগোত্র থেকেই ইসলামি আন্দোলন ঠেকাও নামের একটা চাপা আওয়াজ আমরা দূর থেকেও শুনতে পাই।

সর্বশেষ বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে তাদের সাথে যে আচারণ করা হলো তাও যে ওই চাপা আওয়াজেরই অংশ ছিল তা বুঝতে সচেতন মহলের একটুও বেগ পেতে হয়নি।

জামায়াতের সাথে দেশের অন্যান্য ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হওয়াকে আমি যৌক্তিক মনে করি। কারণ জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী দল। পৃথিবীর কোথাও নজির নেই- স্বাধীনতা বিরোধীদের পরবর্তিতে দেশের মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে বা স্বাধীন দেশের কল্যাণে তারা বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পেরেছে।

জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের ব্যর্থ দল। তাদের সাথে ঐক্য না করে বাংলাদেশের ওলামা হযরতরা বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন সত্যি, কিন্তু এখন কী করছেন?

ব্যবসার জটিলতা দিয়ে দিন বিসফটিকে (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন

নিজেদের মধ্যে কেনো ঐক্য বা সমঝোতা গড়ে তুলতে পারছেন না? সমগোত্রিয় ইসলামি আন্দোলনের উত্থানে কেনো তারা খুশি হতে পারেন না?

জামায়াতের নেতারা যদি সত্যিই ইসলামকে ভালোবেসে রাজনীতি করতেন তবে স্বাধীনতার পরে জামায়াত ত্যাগ করতেন। সে সময়ের নেতৃত্বে থাকা নেতারা নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতেন।

কিন্তু তারা তা করেন নি, করতে পারেন নি। ক্ষমতার মোহে, নেতৃত্বের মোহে তারা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের ব্যানারে রাজনীতি করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন।

সুতরাং তাদের সাথে ইসলামপন্থী রাজনীতির ঐক্য হতে পারে না। কিন্তু নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে সমস্যা কোথায়? সমগোত্রের সমঝোতা হতে সমস্যা কোথায়?


আমাদের ইসলামপন্থী নেতাদের আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টির জোটে গিয়ে ‘বিড়াল’ হয়ে থাকতে আত্মসম্মানে বাঁধে না, কিন্তু নিজেদের মধ্যে একটু উঁচু নিচু হলেই খুব বেধে যায়।

আওয়ামী লীগ বিএনপির জোটে তারা যতোটা উদার, নিজেদের মধ্যে ঠিক তার বিপরীত। বরং অনেক বেশি র‌্যাসিস্ট।

আমি খুব অবাক হই, এত আত্মসম্মানবোধহীন কেনো তারা? আসল সমস্যা কোথায়? তাদের শিক্ষায়? তারা তো অনেক ভারী ভারী কিতাব পড়েন, কুরান পড়েন, হাদিস পড়েন, তবু কেনো মনের ভেতরে এত সংকীর্ণতা পুষে রাখেন? গদলটা কোথায়?

আমি বিশ্বাস করি- তরুণ/যুবক প্রজন্মের মামুনুল হকরা যদি আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে আসেন তবে সত্যিকারের গলদ তারা আবিষ্কার করতে পারবেন এবং এর সুচিকিৎসা দিতে পারবেন। বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতি থেকে দূর হবে অসুস্থ ধারা। গড়ে উঠবে স্বতন্ত্র ইসলামি শক্তি।

‘ত্যাগ’ এবং ‘উদারতা’ শুধু বক্তৃতার ব্রিফকেসে তোলা থাকবে না, নিজেদের মধ্যে এর ব্যাপক চর্চা শুরু হবে। ঐক্য কোনো তাগুতের সাথে নয়, ঐক্য হবে সমগোত্রের। সমঝোতা হবে ক্ষমতার নয়, আদর্শের।

লেখক: ইসলামি রাজনীতি বিশ্লেষক

মন্ত্রিসভায় কওমি শিক্ষা আইন অনুমোদন; যা ভাবছেন বোর্ড প্রতিনিধিরা

ভোটের আগে জোটের খেলায় ইসলামপন্থীরাও!

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ