বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


হাজরে আসওয়াদ সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

হাজরে আসওয়াদ হলো, পবিত্র কাবার গায়ে এটে দেয়া একটি পাথর। হাজীগণ হজ্জ করতে গিয়ে তাতে সরাসরি বা ইশারা করে চুমু দিয়ে থাকেন। এই পাথরটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে পরিচিত একটি পাথর। কালো বর্ণ হওয়া ছাড়াও অসংখ্য প্রশ্ন, কৌতুহল ও রহস্যে আবৃত এই হাজরে আসওয়াদ। আসুন, পাথরতি সম্পর্কে কয়েকটি অজানা তথ্য জেনে নেই।

১. ইসলামপূর্ব কুরাইশদের যুগে কাবা শরীফের গিলাফ যখন পুড়ে গিয়েছিল, তখন এই হাজরে আসওয়াদও পুড়ে গিয়েছিলো। ফলে তার কৃষ্ণতা আরো বৃদ্ধি পেল।

২. আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা. এর শাসনামলে হাজরে আসওয়াদ ভেঙ্গে তিন টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ফলে তিনি তাকে রুপা দিয়ে বাঁধালেন। আর তিনিই সর্বপ্রথম হাজরে আসওয়াদকে রুপা দিয়ে বাঁধানোর সৌভাগ্য অর্জনকারী।

৩. ১৭৯ হিজরীতে খলীফা হারুনুর রশীদ রহ. হাজরে আসওয়াদকে রুপা দ্বারা বাঁধায় করা দেখে তাঁর মনে পাথরটিকে সংরক্ষণ ও মেরামতের খেয়াল এল। ফলে তিনি হীরা দ্বারা তাকে ছিদ্র করে রুপা দ্বারা ঢালায় করে দেন।

৪. ১৮৮ হিজরীতে আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ রহ. তাঁর এক নির্মাতাকে নির্দেশ দিলেন। ফলে রুপা অপসারণ করা হয়। এবং তাঁরই নির্দেশে হাজরে আসওয়াদসহ তার আশপাশের উপর নিচের পাথর ছিদ্র করে তাতে রুপা ঢেলে দেওয়া হয়।

৫. ৩১৭ হিজরীতে কারামতিরা হারাম শরীফে অতর্কিত আক্রমণ করে হাজরে আসওয়াদ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং ৩৩২ হিজরীতে ফিরিয়ে এনে চুনা দিয়ে তার চারপাশ এঁটে দেওয়া হয়।
চ. ৩৬৩ হিজরীতে রোম দেশীয়ও এক অমুসলিম ব্যক্তি হাজরে আসওয়াদ আক্রমণ করে। এবং ইস্পাতের কুড়াল দ্বারা আঘাত করে। ফলে তাতে দাগ পরে যায়।

৬. ৪১৩ হিজরীতে এক নাস্তিক লৌহ শলাকা দ্বারা হাজরে আসওয়াদের ওপর হামলে পড়ে। ফলে তা ছিদ্র হয়ে যায়। এরপর বনী শায়বার কিছু লোক তার ভগ্নাংশগুলোকে একত্র করে কস্তুরি দ্বারা ধৌত করে তার টুকরোগুলো পুনরায় জোড়া লাগিয়ে দেয়।

৭. ৯৯০ হিজরীতে ইরাকের আধিবাসী এক অনারব লোক মক্কায় আসে। এবং লৌহ শলাকা দ্বারা হাজরে আসওয়াদ আক্রমণ করে। ফলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এবার কোন ক্ষতি করতে পারেনি।

৮. ১৩৩১ হিজরীতে সুলতান মোহাম্মদ রাশাদ হাজরে আসওয়াদের চারপাশে রুপার একটি নতুন বেষ্টনি তৈরি করে দেন।

৯. আফগানিস্থান থেকে এক ব্যক্তি মক্কায় এসে হাজরে আসওয়াদের একটি টুকরো উপড়ে ফেলে দেয়। এবং ঐ লোকটি কাবার গিলাফের একটি অংশের সাথে কাবার চৌকাঠের এক টুকরো রুপাও চুরি করে নিয়ে যায়।

১০. ১৮/০৪/১৩৫১ হিজরীতে বাদশাহ আব্দুল আযীয রহ. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অনেক আলেম ওলামাসহ কাবা শরীফে উপস্থিত হলেন এবং হাজরে আসওয়াদের মজবুতির জন্য তাতে মেশকে আম্বরেমত মূল্যবান পাথর সংযুক্ত করেন।

আরও পড়ুন ঃ  পবিত্র কাবা ঘরের নাম কয়টি?


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ