রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
আরব আমিরাতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদের নামে প্রায় ২২ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে অবস্থান শেখ জায়েদ মসজিদের। পৃথিবীর অষ্টম বৃহৎ মসজিদ এটি। ১০৭ মিটার উঁচু চার মিনার বিশিষ্ট, ছোট বড় ৭ আকারের ৮২ টি গম্বুজ বিশিষ্ট শ্বেত মার্বেলে নির্মিত এই মসজিদ দেখতে প্রতিদিন পৃথিবীর নানা দেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীতে আসে।
১৯৯৬ সালের শেষ দিকে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৪১ হাজার মুসল্লি একত্রে এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদ এবং জুম্মার নামাজের সময় এর পরিমাণ বেড়ে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়। মসজিদটিতে ৮২টি গম্বুজ এবং ৪টি মিনার রয়েছে ।
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদেও বিনামূল্যে ইফতার করানো হয়ে থাকে। এই মসজিদে প্রতিদিন ৩৫ হাজার মানুষের ইফতার করানোর ব্যবস্থা থাকে। পবিত্র মাহে রমজানের গণ ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে ও তারাবির নামাজ আদায় করতে আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রান মুসল্লীরা ছুটে আসেন। প্রতিবছর রমজান মাসে পহেলা রমজান থেকে ত্রিশে রমজান পর্যন্ত মাসব্যাপী এখানে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
এ মসজিদের ইফতার আয়োজনে প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় ১২ হাজার কেজি মুরগির মাংস, ছয় হাজার কেজি ভেড়ার মাংস এবং অন্য দ্রব্যাদি যেমন চাল, সবজি, টমেটো ও পেঁয়াজ মিলিয়ে ৩৫ হাজার কেজি। খাবারের পরিমাণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে আয়োজন কত বিশাল।
এছাড়াও রমজানে তারাবির নামাজসহ পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষ মুসল্লীরা এই মসজিদে ভীড় জমান। জুম'আ আর ঈদের নামাজে মানুষের উপচে পড়া ভিড় আর রমজানের গণ ইফতার পার্টির জমায়েত না দেখলে বুঝাই যায় না কত মানুষ এখানে নামাজ পড়তে, ইফতার করতে ও দেখতে আসে? মহিলাদের জন্য আছে নামাজের আলাদা জায়গা।
ইফতারে প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নানা দেশের বিশ হাজার থেকে ত্রিশ হাজারের বেশি মুসলমান শরীক হয়। ইফতারের এ বিশাল আয়োজন ইউএই প্রেসিডেন্টের ফান্ড থেকে করা হয়। আবুধাবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইফতার পার্টিতে সহজে আসা যাওয়ার জন্য ফ্রি বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের মন্তব্য, এই মসজিদ পৃথিবীর অন্যতম সেরা এক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। তাই তারা বার বার এইখানে ফিরে আসার আকাঙ্খা ব্যক্ত করে। সূত্র : খালিজ টাইমস।