শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


জিন্নাহর ছবি বিতর্কে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: ভারতের ঐতিহাসিক আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুহাম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে বিতর্ক যেন থামাছেই না।  পুরো জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই মধ্যে জিন্নার ছবির সমর্থকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ডেকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে সংবাদ থেক জানা যাচ্ছে।

প্রশাসন জানিয়েছে, কিছু মানুষ ভিত্তিহীন খবরের ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এলাকাজুড়ে। ফলে বাড়ছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা।

আন্দোলন দমাানো এবং অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় যাবতীয় ইন্টারনেট পরিষেবা  বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত  ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আন্দোলনকরীরা যাতে পরস্পরে  যোগাযোগ রক্ষা এবং আন্দোলনের খবর বাইরে প্রকাশ করতে না পারে সে জন্যেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে  জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র ভুষণ সিং।

অপরদিকে আলিগড়ের মুসলিম ছাত্ররা আজ তৃতীয় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবে সাইয়িদ এ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এমনকি গতকাল তারা সেখানেই জুমার নামাজ আদায় করেন। জিন্নাহর ছবি পুনর্বহাল ও গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

৩ তারিখ থেকে বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। আবাসিক ছাত্র শিক্ষকদরে মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অনেক শিক্ষার্থী নিরাপত্তার ভয়ে  ইতোমধ্যে হল ছেড়েছেন।

উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন হলে দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রণেতা ও পাকিস্তানের জনক কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নার ১৯৩৮ সালের একটি ছবি থাকায় হিন্দু যুবা বাহিনীর নেতাকর্মীরা গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে মুসলিম বিরোধি নানা স্লোগান দেয়। ছাত্ররা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে মারামারিও হয় সেখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন হিন্দু যুবা বাহিনী কর্মীদের গ্রেফতারি দাবি করে।

এ ব্যাপারে শুরু থেকেই সোচ্চার রয়েছেন মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ। জমিয়তের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাইয়িদ মাহমুদ মাদানি বলেছেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা জিন্নাকে কখনও আদর্শ বলে মানেননি, তাঁর দ্বিজাতিতত্ত্ব সমর্থন পায়নি তাঁদের কাছ থেকে।

তবে একটি ছবি নিয়ে বিজেপি সমর্থিত হিন্দু সংগঠনের বাড়াবাড়ির নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। মুসলিম ছাত্রদের সহনশীলতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পরামর্শ দিয়েছেন এই জমিয়ত নেতা। এর আগে তিনিও ছবি সরিয়ে নেয়ার পক্ষে মত দিযেছিলেন।

সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান, এবিপি

আরো পড়ুন- জিন্নাহর ছবি বিতর্কে বিজেপির পাশে জামিয়েত হিন্দ


সম্পর্কিত খবর