শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


হিন্দুত্বের ধ্বজা ধরে দেশ জুড়ে গো-রক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব চলছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গো-রক্ষক বাহিনীর বাহুবল কিংবা জোর করে ধর্মান্তকরণ হিন্দু ধর্মের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য নয়। বরং হিন্দু ধর্মের বিচ্যুতি। গো-রক্ষার নামে তাণ্ডবের মধ্যে এই মত রামকৃষ্ণ মিশনের দিল্লি শাখার সচিব স্বামী শান্তাত্মানন্দের।

হিন্দুত্বের ধ্বজা ধরে দেশ জুড়ে গো-রক্ষক বাহিনীর তাণ্ডব চলছে। অসহিষ্ণুতা শুধু হিন্দি বলয়েই নয়, নজর কাড়ছে বাংলাতেও। রাজনৈতিক দলগুলি হঠাৎ রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দকে হিন্দুত্বের রাজনীতির অস্ত্র করছে। তবে স্বামী শান্তাত্মানন্দ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘রাজনীতির সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা সেই হিন্দু ধর্মে আস্থা রাখি যে সুপ্রাচীন ধর্ম সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদের উপরে প্রতিষ্ঠিত।’’

কিছু দিন আগে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে বড়দিনের উৎসব পালিত হয়েছে। গির্জার প্রতিনিধিরাও আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন। স্বামী শান্তাত্মানন্দ বলেন, ‘‘শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্য স্বামী সারদানন্দ ঠাকুরকে যিশুর রূপে দেখেছিলেন।’’ তাঁর উদ্যোগে দিল্লিতে শুরু হয়েছে নাগরিক সচেতনতা কর্মসূচি। যাতে রয়েছে মূল্যবোধ শিক্ষা। কেন্দ্রীয় সরকারও সিবিএসই বোর্ডে মূল্যবোধ শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

দিল্লি আশ্রমের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মূল্যবোধের শিক্ষা দেবেন বলে ঠিক হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হল সর্বধর্ম সমন্বয়। শুধু খ্রিস্ট ধর্ম নয়, সম্প্রতি শিখ, মুসলিম, জৈন-সহ সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সম্মেলনের আয়োজন করছে দিল্লি রামকৃষ্ণ মিশন।

আর হিন্দুদের সামাজিক উৎসব প্রসঙ্গে স্বামী শান্তাত্মানন্দ বলেন, ‘‘দোল অথবা হোলি শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এই সামাজিক মিলন উৎসবে অহিন্দুদেরও একই ভাবে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’’ রামকৃষ্ণ মিশনের দিল্লি শাখার সচিবের মন্তব্য, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আর ইসলামকে এক করে দেখা ঠিক নয়।

কারণ ইসলাম কখনই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। আবার কাশ্মীরে হিন্দু পন্ডিতরা ঘরছাড়া হলে তারও প্রতিবাদ জানানো প্রয়োজন। নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে নীরব থাকাটাও ধর্মনিরপেক্ষতা নয়।’’

আনন্দবাজার পত্রিকা/এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ