শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

ফুলছড়িতে জনবসতি এলাকায় মাদরাসা স্থানান্তরের দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম 

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের চরকাবিলপুর গ্রাম থেকে চিকিরপটল রহমানিয়া দাখিল মাদরাসাটি একই ইউনিয়নের মধ্য উড়িয়া গ্রামে স্থানান্তরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন করে দাবিটি তুলে ধরেন উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার, শিক্ষক-কর্মচারি ও মাদরাসাটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাশে বর্তমানে চর কাবিলপুর গ্রামে নদীভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় মাদরাসাটি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই মাদরাসাটিতে উড়িয়া ইউনিয়নের চরকাবিলপুর ও কালাসোনারচর গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে। নদীভাঙ্গনের ফলে এই দুই গ্রামের মানুষ নদীর পশ্চিম পাশে উড়িয়া ও মধ্য উড়িয়া গ্রামসহ আশেপাশে বাড়ি করেছে। আর তাই চিকিরপটল রহমানিয়া দাখিল মাদরাসাটি নদীর পশ্চিম পাশে মধ্য উড়িয়া গ্রামেই স্থাপন করা প্রয়োজন।

তা না করে মাদরাসাটির সভাপতি হাসমত আলী প্রভাবিত হয়ে বর্তমান জায়গা থেকে আরও প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্বে পাশ্ববর্তী ফজলুপুর ইউনিয়নের বাজে তেলকুপি গ্রাম সংলগ্ন চরকাবিলপুর গ্রামের শেষ সীমানায় স্থানান্তর করার পায়তারা করছেন। যেখানে বর্ষাকালে বছরের প্রায় ২ থেকে ৩ মাস নদীর পানি জমে থাকে, বর্তমান জায়গার থেকে অনেকটাই নিচু এলাকা, অপেক্ষাকৃত বেশি বালুমাটি ও কম বসতবাড়িপূর্ণ এলাকা। সেখানে মাদরাসাটি স্থানান্তরিত হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাবে। একসময় মাদরাসাটি বন্ধ হয়ে যাবে ও শিক্ষক-কর্মচারীরা চাকরি হারাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, গতমাসের ২২ জানুয়ারি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে ১১জন সদস্যের মধ্যে ৮জনই মধ্য উড়িয়া গ্রামে মাদরাসাটি স্থানান্তর করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। পরে চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি মাদরাসাটির স্থান নির্ধারণে তদন্ত কমিটি পরিদর্শনে আসলে ফজলুপুর ইউপির চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন লোক এসে মাদরাসাটি বাজে তেলকুপি গ্রাম সংলগ্ন ওই নিচু জায়গাটিতে করার জন্য দাবি জানায়। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে ও টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মধ্য উড়িয়া গ্রামে মাদরাসাটি স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন সরকার, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম গামা, উড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন ফুলমিয়া, সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম সরকার, মাদসারাটির সুপার ওয়ায়েছ কুরুনি, সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উড়িয়া ইউপির মেম্বাররা, মাদরাসাটির ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারি, ১১ জনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির ৮ জন সদস্য ও অভিভাবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে মাদরাসাটি ফজলুপুর ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামে হেলেঞ্চা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে নদীভাঙ্গনে জায়গাটি বিলীন হলে ১৯৮০ সালে চিকিরপটল গ্রামে চিকিরপটল রহমানিয়া দাখিল মাদরাসা নামে প্রতিষ্ঠিত হয় ও সরকারি অনুদানভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে আবারও নদীভাঙ্গনের শিকার হলে উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনারচরে মাদরাসাটি স্থানান্তর ও ভবন নির্মাণ করা হয়। এখানে প্রায় ২২ বছর মাদরাসাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এই দীর্ঘ সময়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে মাদরাসাটিতে। পরে সেখানেও ভাঙ্গন দেখা দিলে একই গ্রামের দক্ষিণ অংশে মাদরাসাটি স্থাপিত হলে আবারও ২০১৪ সালে নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিলে চরকাবিলপুর গ্রামে মাদরাসাটির নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে এখানেও ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় আবারও মাদরাসাটি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

 

/এটি 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ