বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


‘তাবলিগ চলে কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক, কিন্তু মাওলানা সাদ বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতে দিল্লির নেজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসা প্রতিহত করতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি যাত্রাবাড়ীতে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সামনে জড়ো হয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা।

সেখানে উপস্থিত আছেন, তাবলিগের পাঁচ উপদেষ্টার অন্যতম আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস,  বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাজহফুজুল হক,  মাওলানা নুরুল ইসলামসহ অসংখ্য উলামায়ে কেরাম।

বিক্ষোভে বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি ও তাবলিগের পাঁচ উপদেষ্টার অন্যতম সদস্য আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক তাবলিগ জামাত চলছিল। কিন্তু মাওলানা সাদ কিছু কিছু বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে দেবে না। বাংলাদেশে এলেও ফিরে যেতে হবে। আমরা এ্র জন্য সংগ্রাম করতে প্রস্তুত আছি।

বিক্ষোভে বক্তব্য দেন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস। বলেন, ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তের বাইরে মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এলে তা বরদাশত করা হবে না।

তিনি বলেন, মাওলানা সাদকে আনার চেষ্টা করা হলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।

এর আগে, বক্তব্যে বেফাকের ‍যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা সাদকে দেশে আনা হলে এদেশের আলেম উলামা, তৌহিদি জনতা ও তাবলিগি ভাইগণ প্রতিহত করবেন। তারা কখনো এমন অন্যায়কে মেনে নেবেন না। মাওলানা সাদ তখনই আসতে পারবেন যখন তিনি তার বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করলেই আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন,  আমরা বিভক্তি চাই না, ঐক্য চাই। নিজামুদ্দিনে যে বিভক্তি হয়েছে সেটি রেখে তারা আসতে পারবেন না। একত্রিত হলে ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত, ভারতের মতামত প্রতিবেদন আকারে সরকারকে দিয়েছি। সেগুলো উপেক্ষা করে মাওলানা সাদ আসতে পারেন না।

মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, মাওলানা সাদ তার বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার না করলেেএ দেশে তাকে আসতে দেওয়া হবে না। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে অবিলম্বে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। সবার সম্মতিক্রমে আমাদের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের মুরুব্বি আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্ত্বে আমাদের এই পদক্ষেপ।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আলেম-ওলামা বেফাকের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ