শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


জেনে নিন ভাতের ৬ স্বাস্থ্য উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক বা প্রধান খাদ্য হছে ভাত। ভাতের বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। পৃথিবীতে ৪০ হাজার জাতের রাইস পাওয়া যায়। এর দুটি প্রধান ক্যাটাগরি হচ্ছে গোটা শস্য ধান বা বাদামী চাল ও সাদা চাল। বাদামী চাল খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত করা হয়না তাই এর পুষ্টি উপাদান অক্ষুন্ন থাকে। অপরদিকে সাদা চাল প্রক্রিয়াজাত করা হয় যার ফলে এর বাহিরের স্তরটি দূর হয়ে যায় এবং পুষ্টি উপাদান ও কমে যায়। মানুষ নির্দিষ্ট স্বাদের জন্য, রান্নার চাহিদা অনুযায়ী, সহজলভ্যতা ও সম্ভাব্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য ভাত রান্নায় একেক ধরণের চাল পছন্দ করে। চালের আকারের উপর ভিত্তি করেও একে বিভক্ত করা যায়। যেমন- চাইনিজ ও ভারতীয় রান্নার জন্য লম্বা চাল ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে ছোট বা মাঝারি আকারের চাল ব্যবহার করা হয়। ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো জেনে নেই আসুন।

১। গ্লুটেন মুক্ত
ভাতে কোন গ্লুটেন থাকেনা তাই ভাত সবচেয়ে ভালো নন-অ্যালার্জিক খাদ্য। অনেক মানুষের গ্লুটেন সহনীয়তা কম তাই তারা প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই গ্লুটেন অ্যালার্জি যাদের আছে তাদের জন্য ভাত আদর্শ খাবার। কারণ এর মাধ্যমে তারা অন্য পুষ্টি উপাদানগুলো ও গ্রহণ করতে পারে। ভাতে আছে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি, ডি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন ও বিভিন্ন ধরণের খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

২। হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো
ভাতের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি হৃদস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভাতের তুষ থেকে তৈরি তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধী হতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভাতে খারাপ কোলেস্টেরল থাকেনা তাই কোলেস্টেরলের স্তর কমাতে সাহায্য করে।

৩। এনার্জি প্রদান করে
আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি প্রদান করে ভাত। কারণ ভাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে। কার্বোহাইড্রেট বিপাকের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং এটি শরীরে রুপান্তরিত হয়ে কার্যকরী ও ব্যবহার উপযোগী শক্তিতে পরিণত হয়। ভাতে ফ্যাট, লবণ ও চিনি খুব কম পরিমাণে থাকে।

৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ভাতে সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকে বলে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ থাকে তাদের জন্য ভাত সবচেয়ে ভালো খাবার। সোডিয়াম শিরা ও ধমনীকে সংকুচিত করে, কারডিওভাস্কুলার সিস্টেমের উপর চাপ সৃষ্টি করে যার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। তাই অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ না করাই ভালো।

৫। ত্বকের যত্ন
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে চালের গুঁড়া ত্বকের রোগ সাড়াতে ব্যবহার করা যায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা ত্বকের উপরিভাগের যন্ত্রণা প্রশমনের জন্য ভাতের মাড় ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। ভাতে বিশেষ করে বাদামী চালের ভাতে ফেনোলিক যৌগ থাকে, প্রদাহরোধী উপাদান থাকে যা ত্বকের লাল ভাব ও যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ পড়াকে ধীর করতে পারে ভাতের অ্যান্টিওক্সিডেন্ট।

৬। আলঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধে
বাদামী চালের ভাতে উচ্চমাত্রার পুষ্টি উপাদান থাকে যা নিউরোট্রান্সমিটারের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে আলঝেইমার্স এর ব্যপ্তিকে প্রতিহত করে।

এছাড়াও ভাত দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, বাদামী চালের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম বলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো, প্রাত্যহিক ম্যাঙ্গানিজের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে ১ কাপ ভাত। সূত্র : প্রিয়

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ