শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


বিশ্ব মুসলিমকে মজলুম রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : হযরত ইবরাহীম আ. এর ত্যাগ, কুরবানীর মহিমায় ও আদর্শে মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের জন্য আলোকবর্তিকা বয়ে আনুক। তিনি বলেন, এমন সময় দেশবাসী পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করছে যখন দেশ এক ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের অজুহাত তুলে পবিত্র ঈদুল আযহায় মুসলমানদের ঘরে ঘরে পাড়া-মহলায় কুরবানী দেওয়ার চিরাচরিত ইসলামী ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। সুনির্দিষ্ট জায়গায় পশু কুরবানি দেওয়া এবং নিবন্ধিত লোকের মাধ্যমে পশু জবাইয়ের সরকারি বিধি-বিধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ইসলামী সংস্কৃতি ও চেতনাবোধ মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

তিনি আরোও বলেন, ইসলাম দেশ ও মানবতা প্রেম শিক্ষা দেয়। ইসলামে ফেৎনা-ফাসাদ, হিংসা-বিদ্বেষের কোন স্থান নেই বরং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সত্যিকার মানুষরূপে গড়ে উঠার শিক্ষা দেয়। তাই একমাত্র ইসলামই পারে অশান্ত দুনিয়ায় শান্তির সুবাতাস জারি করতে। আসুন শান্তির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইসলামের শ্বাশত বিধানের দিকে নিজেকে আত্মনিয়োগ করি, তাহলে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতে সীমাহীন নিয়ামতের অংশিদার হতে পারব ইনশাআলাহ।

তিনি বলেন, কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে দেশের উন্নয়ন ব্যাপক ভুমিকা পালন করতে হবে। এবং কওমী মাদরাসা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, চামড়ার ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ না করলে তা ব্যাহত হতে পারে। বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঈদ আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই মুহুর্তে মায়ানমারের মুসলমানরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে। তাদের চোখের সামনে রক্ত আর রক্ত, লাশ আর লাশ। তিনি বিশ্বের সকল মুসলিম শক্তিকে মায়ানমারের মজলুম মুসলমানের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহবান জানান।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর