শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় মর্যাদার আসনে আরব বিশ্ব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সংযুক্তি আরব আমিরাতসহ গোটা আরব বিশ্বের জন্য এ এক অনন্য সম্মাননা। ইউনাইটেড নেশন্স এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন ২০১৯ সালের জন্য শারজাহকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল’ ঘোষণা করেছে।

এই বিশ্বের বইয়ের রাজধানী হিসাবে এক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হলো আরব বিশ্ব। স্থানীয় ও আঞ্চলিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতার স্বীকৃতি হিসাবে ইউনেস্কো এই ঘোষণা দিয়েছে। যেকোনো জাতি-গোষ্ঠির জন্য বই পড়ার সংস্কৃতির তুলনাই চলে না। সেই চর্চাকে চূড়ান্তবাবে উসকে দিতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে দেশটি।

এর আগেও শারজাহর মুকুটে বেশ কয়েকটি পালক যোগ হয়েছে। ১৯৯৮ সালে ক্যাপিটাল অব আরব কালচার, ২০১৪-তে ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার এবং পরের বছরই ক্যাপিটাল অব আরব ট্যুরিজম হিসাবে এ শহরের নাম ওঠে। গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের দেশ হিসাবে প্রথম এবং আরব বিশ্ব ও মধ্যপ্রাচ্যেরমধ্যে তৃতীয় দেশ হিসাবে বইয়ের রাজধানীর পরিচিতি পেল আমিরাত।

ইউনেস্কোর একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ দল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব লিবার্টি অ্যাসোসিয়েশন্স এর সদর দপ্তরে আলোচনায় বসে। নেদারল্যান্ডসের লা হায়ে’র ইফলা (আইএফএলএ)-তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার গুণগত মানের দিক থেকে আরব আমিরাতের শারজাহ চারদিক আলোকিত করেছে। দেশটি গোটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বই এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামগুলো ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছে।

১৯তম শহর হিসাবে ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটালের মর্যাদা পেল শারজাহ। ২০১৭ সালে কোনাক্রি আর ২০১৮ সালের জন্য অ্যাথেন্সকে বইয়ের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

এমিরেটস পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং শারজাহর ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল অর্গানাইজিং কমিটির প্রধান শেইখা বদর বিন্ত সুলতান আল কাসিমি বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্বের সেরাদের মধ্য স্থান করে নিতে পেরে আমরা গর্বিত। বই পড়ার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের অগ্রদূতদের সারিতে পৌঁছে গেলাম। সূত্র : এমিরেটস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ